বলিউডের ভাইজান বলে খ্যাত সালমান খান সোনার চামচ মুখে নিয়েই জন্মেছিলেন বলা যায়। বাবা সেলিম খান ভারতের বিখ্যাত লেখক। সেলিম-জাভেদ জুটির ‘শোলে’ এখনও বলিউডের পরিচয় পত্রের মতন!
অনেকটা এমন- যেন স্লোগান, ‘বলিউডের সিনেমা কী- শোলে ছাড়া আবার কী’..
সেই পরিবারে সালমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর। বড়দিনের একদিন পরে হলেও সালমানের সাথে অনেকেই সান্টার মিল খুঁজে পান। কারণ সালমানের অনেক নেতিবাচক ঘটনার পরেও বলিউডজুড়ে আছে সালমান বন্দনা।
পারিবারিকভাবেই সেলিম খান তার সন্তানদের মানবিক শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সবসময়। সালমান খানও সেই শিক্ষা নিয়েছেন ভালোমতই। স্কুলে থাকার সময় মাত্র দশ বছর বয়সে স্কুলের ১০/ ১২টা শিশুকে বাসায় নিয়ে যায় সালমান। কারণ শিক্ষক বলেছিলেন এদের বাসায় খাবার থাকেনা। সেই বাচ্চারা স্কুল পাশ করার পর্যন্ত সালমানের বাসায় খেয়ে যেত।
শাহরুখ খান একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান আর আমাকে নিয়ে অনেক রটনা আছে। কিন্তু অনেকেই জানে না, আমি বোম্বে আসার পর সালমানদের বাসাতেই অন্ন-আশ্রয় লাভ করি।’
এছাড়াও সালমান অনেক স্টারকিডদের ফিটনেসের দিশা দেখিয়েছেন। করণ জোহরকে নেপো-ড্যাডি বলা হলেও, এমন স্টারকিড খুব কমই আছেন যারা সালমানের ফিটনেস সেন্টারে নিজেকে ট্রান্সফর্ম করেনি।
তার মাঝে আছেন সোনাক্ষী সিনহা ও অর্জুন কাপুর। এছাড়াও আরমান কোহলি, গোবিন্দা এমন কী শাহরুখ খানের ফিটনেস পরামর্শক এই সাল্লু ভাই।
সালমান খান কখনোই নিজে বাবা মাকে রেখে আলাদা থাকতে চাননি। কোটিপতি হলেও তিনি বেছে নিয়েছেন বাবা মায়ের সাথে থাকার এপার্টমেন্ট। এছাড়াও সেলিম খানের দ্বিতীয় পত্নী হেলেন খানের সাথে সালমান ও আরবাজ খানের দারুণ সম্পর্ক সকলের কাছে উদাহরণসরূপ।
প্রয়োজন আছে কিন্তু সালমানকে পাওয়া যায়নি, এমন ঘটনা সালমানের জীবনে নেই। অনেকের ক্যারিয়ারের ঘুরে দাঁড়ানোতে সালমানের অবদান আছে। ২০২৩ সালে ববি দেওলের কামব্যাকের পিছনেও আছে সালমানের হাত। এছাড়া কঠিন সময়ে সুস্মিতা সেন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, গোবিন্দারমত শিল্পীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছেন সালমান।
বলিউড ঘিরে সালমানের বন্দনা থাকলেও তার কাজের পরিধি বলিউডের বাইরেও। লকডাউনের সময় প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধ্যমত সকলকে সাহায্য করেছেন তিনি। অসংখ্য চ্যারিটি করেন। বিনিময় করেছেন নিজের বোনম্যারোও।
একদিকে যখন সালমানের দিকে অভিযোগের তীর, অপর দিকে তার ভিন্নরূপের তরী মাঝে মাঝেই পাল তুলে জানিয়ে দেয়, নদীর দুই পাড়ে আছে সালমানের দুই রূপ। এজন্যই হয়তো সালমান কখনো ‘টাইগার’ কখনো ‘কিসি কা ভাই কিসি কা জান’।