২০২৩ সালে ভারতীয় বক্স অফিসে ঝড় তোলা ‘জাওয়ান’ সিনেমায় ডা. ইরামের যে ব্যাকস্টোরি দেখানো হয় তা ছিল বাস্তবের ডা. কফিল খানের জীবনের বাস্তব ঘটনা।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে, ‘জাওয়ান’ সিনেমায় ইরামের চরিত্রে থাকা সানিয়া মালহোত্রা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘অনেক দিন সময় লেগেছিল নিজেকে সামলাতে। আমি সঠিকভাবে বলতে পারব না, কেন আমি ওতটা বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু শুট শেষ করার কয়েকদিন পরেও আমি ঘুমোতে পারতাম না। অস্বস্তি কাজ করত। কারণ বাস্তবতা আরও অনেক বেশি তিক্ত ছিল। যা অভিনয়ের পূর্বে নিজেকে অতি যৎসামান্য হলেও অনুভব করিয়েছিলাম।’
বাস্তবে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের হাসপাতালেও অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব দেখা দিয়েছিল। কফিল খান নামে সেখানকার এক চিকিৎসক নিজের খরচে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এনসেফাল্যাইটিসে আক্রান্ত ৬৩ জন শিশু। কফিলের দাবি, হাসপাতালের পরিস্থিতি উচ্চপদস্থদের জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। বরং শিশুদের মৃত্যুর পর মিথ্যা অভিযোগে কফিলকে জেলে পাঠানো হয়।
২০২১ সালে এই ঘটনা নিয়ে একটি বইও লেখেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাফিল খান ধন্যবাদও জানিয়ে ছিলেন শাহরুখ-সহ গোটা ‘জওয়ান’ টিমকে।