এক যুগের সমাপ্তি। মনিকা, রস, র্যাচেল, জোয়ি, ফিবি-কে রেখে চলে গেলেন চ্যান্ডলার। আমেরিকান সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে, ২৮ অক্টোবর শনিবার বিকালে লস অ্যাঞ্জেলসে নিজ বাড়িতে পিকাবল খেলে ফিরেন ম্যাথিউ। তার পরেই অভিনেতা তার কাজের লোককে কিছু জিনিসপত্র কিনতে বাইরে পাঠিয়ে দেন। সে ফিরে এসে ম্যাথিউকে বাথটাব থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। জরুরি সাহায্যের জন্য ৯১১-এ ফোন করেও শেষ রক্ষা হয়নি।
ঘটনা স্থলে কোনো মাদক জাতীয় দ্রব্য বা ম্যাথিউর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন তেমন কোনও রকম সন্দেহজনক কিছু পায়নি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
সালটা ছিল ২০১৮। ঐ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাথটাব থেকে উদ্ধার হয়েছিল বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রী শ্রীদেবীর মৃতদেহ। ঠিক পাঁচ বছর পর সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বাথটাবে মিলল আরও এক জনপ্রিয় অভিনেতার নিথর দেহ। পর্দায় কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয় হলেও বাস্তবে কঠিন জীবন যাপন করতে হয়েছিল ম্যাথিউকে। পেইন কিলার ও ম’দে আসক্ত ছিলেন অভিনেতা। একাধিক বার রিহ্যাবেও থেকেছেন তিনি।
১৯৬৯ সালের ১৯ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন ম্যাথিউ পেরি। অল্প বয়সেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে লস অ্যাঞ্জেলসে আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে ‘বয়েজ উইল বি বয়েজ’-এ প্রথম অভিনয় করার সুযোগ পান তিনি। তবে তার অভিনয় জীবনের মাইলফলক ছিল ‘ফ্রেন্ডস’। ১৯৯৪ সালে শুরু হওয়া এই টেলিভিশন সিরিজটি এতটাই জনপ্রিয়তা পায় যে টানা ১০ বছর ধরে তা চলে। ১০ সিজন পর, ২০০৪ সালে শেষ হয় ‘ফ্রেন্ডস’।
দেশ–বিদেশের দর্শক তাকে ম্যাথিউ নয়, চিনেছিলেন চ্যান্ডলার নামেই। বিশেষ করে মনিকা ও জোয়ির সঙ্গে চ্যান্ডলারের সমীকরণ দর্শকদের খুব বিনোদন দিয়েছে।
বন্ধুত্ব ও প্রেমের মিশেলে চ্যান্ডলারের চরিত্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ম্যাথিউ। ৯০ দশকের সেই চ্যান্ডলারের অভাব ভোলার নয়।