সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণির ‘প্রিয় নানুভাই’ শামসুল হক গাজী। তাকে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় দাফন করা হয়। নানাকে বিদায় দেওয়ার এই কঠিন সময়ে সারাক্ষণ যে মানুষটি পরীর সাথেই ছিলেন, তিনি হলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। প্রিয় নানুভাইয়ের অন্তিম বিদায়ের সেই আবেগঘন মুহূর্তগুলো চয়নিকা শেয়ার করেছেন দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে।
“সকালের সূর্য, ভোরের কুয়াশা, ঠাণ্ডা বাতাস, রাতের জোছনায় সবখানেই তিনি আছেন। আছেন উপর থেকে আসা প্রকৃতির মাঝে। আছেন তার করা কাঁচা রাস্তায়, তার হাতে গড়া স্কুলে। তিনি আছেন পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া অঞ্চলের সমস্ত মানুষের অন্তরস্থলে।“ এই লাইনগুলো দিয়ে স্ট্যাটাসটি শুরু করেন চয়নিকা।
এই নির্মাতার ভাষ্যমতে, “পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় আমাদের পরীমণি হচ্ছে শুধুমাত্রই শামসুল হক গাজীর নাতনি। আর কিছুই না। সত্যিই তাই। আমাদের নানুভাই, তিনি যে এই গ্রামে কী পরিমাণ জনপ্রিয় আর ভালোবাসার মানুষ!! নিজের চোখে দেখার সৌভাগ্য হলো।”
চয়নিকা তার স্ট্যাটাসে আরও যোগ করেন, “জানিনা পরীমণি আর কখনোই পায়েস খেতে পারবে কিনা! কিন্ত তার নানুভাই হাসপাতালের শেষদিন অবধি তার রান্না করা পায়েসই খেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘পরীর পায়েস ছাড়া আর কিছুই খাবো না আমি।‘ আজও সেই পায়েস রান্না করা হচ্ছে সবার জন্যে। তিনি নিশ্চয়ই উপর থেকে সব দেখছেন আর পরীকে দোয়া দিচ্ছেন যাকে আজীবন রেখেছেন আগলে তার বুকের ভিতর। শেষ মুহুর্ত অবধি বলেছিলেন, ‘পরী নানুভাই তুমি আমার বুকের ভিতর আছো’।” শেষে নানাকে শ্রদ্ধা ও স্যালুট জানিয়ে দীর্ঘ স্ট্যাটাসের ইতি টানেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শামসুল হক গাজীর। এরপর তার দাফন হয়েছে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায়। এই পুরো সময় জুড়ে পরীর সাথেই ছিলেন চয়নিকা। পরবর্তীতে ২৬ নভেম্বর নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে এই শেষ যাত্রার বর্ণনার পাশাপাশি বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেন এই নির্মাতা।