১৫ বছরের পুরোনো মামলায় মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি! বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে মমতাজের বিরুদ্ধে।
৯ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের ইভেন্ট অর্গানাইজার শক্তিশঙ্কর বাগচীর করা মামলার জন্য আদালতে হাজিরা না দেওয়ার কারণে চতুর্থবারের মত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় গায়িকার বিরুদ্ধে।
তথ্যমতে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার জন্য ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মমতাজের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করেন শক্তিশঙ্কর বাগচী।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে ১৪ লাখ রুপির বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হলেও অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত হননি মমতাজ । তারকার অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর চালায় উপস্থিত দর্শক । বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আয়োজকরা মমতাজের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে ও অস্বীকৃতি জানান তিনি।
এরপর শক্তিশঙ্কর বাগচী স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হয়েও কোন সহযোগিতা না পেয়ে বহরমপুর আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২০০৯ সালে মামলাটির জন্য মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। পরে সমন কার্যকর না করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় । তখন নিম্ন আদালত থেকে আগাম জামিন নেন মমতাজ।
নিম্ন আদালতের নির্দেশটি পরে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শক্তিশঙ্কর বাগচী। ২০১০ সালে কলকাতা হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তখন মামলাটিতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনবার আগাম জামিন পেয়ে যান গায়িকা।
আগাম নোটিশ থাকা সত্ত্বেও কানাডায় অনুষ্ঠিত এক কনসার্টের কারণে আদালতে হাজিরা দিতে না পারার কারণে ১৫ বছরের পুরোনো মামলাটির জেরে চতুর্থবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে মমতাজের বিরুদ্ধে।