প্রায় ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর গায়ক, গীতিকার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগীতশিল্পীর স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৮ আগস্ট নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে মধুজা লিখেছেন, ‘অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর (সন্তান) জন্য একটা ছোটদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে সমানতালে দীর্ঘ চৌদ্দ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ সালে জুজুকে নিয়ে মুম্বাই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি। ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। একসময় বুঝতে পারলাম বিয়ে মানে ফুল, আলো—সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য।’
পোস্টে মধুজা আরও যোগ করেন, ‘জানি অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। আর কী আশ্চর্য- প্রায় ভাঙার বেলায় আজ ‘রোববারের’ পাতায় ওর লেখা আর আমার আঁকা বেরলো। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে- বন্ধুত্বের হয়তো না। তাই এক শিল্পী আজ অন্য শিল্পীকে জায়গা দিয়েছেন- আমি সম্মানিত! আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!’
মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে/ ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে/ উধাও মনের আহা/ উধাও মনের পাখা মেলবি আয়…, গানের লাইন ধার নিয়েই পোস্ট শেষ করেছেন শিল্পী মধুজা।