নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আবারও তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সমালোচনা করেছেন। চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে, তিনি কথা বলেছেন নানান অনিয়ম ও শেখ হাসিনার নতুন ভাইরাল ফোনালাপ নিয়ে। এছাড়াও একজন প্রকৃত শিল্পী হিসেবে কি করা উচিত না, তাও তুলে ধরেছেন পরিচালক।
ফারুকী তার অফিশিয়াল ফেসবুক হ্যান্ডেলে স্ট্যাটাসটিতে লিখেছেন, ‘আমি এর আগেও অনেকবার লিখেছিলাম যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলন “সময়” থেকে পুরাপুরি বিচ্ছিন্ন। আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে খেলতে খেলতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, এবং শর্ট ফিল্ম ফোরাম নতুন প্রজন্মের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।’
হিটলারের সময়ের কথা উল্লেখ করে ফারুকী লেখেন, ‘একবার ভাবেন, হিটলারের আমলে কোনো শিল্পী হিটলারের মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রতিবাদ তো দূরের কথা তার গাছের গোড়ায় পানি ঢাললে তাকে ইতিহাস কি হিসেবে বিচার করতো।’
এরপর নির্মাতা আরও বলেন, ‘আপনি আওয়ামী লীগ সমর্থক হতে পারেন, বিএনপি সমর্থক হতে পারেন, কিন্তু শিল্পী হলে কোনো অবস্থাতেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণহত্যা, গুমের মতো অপরাধের সাথে জড়িত ফ্যাসিস্টদের পক্ষে কথা বলতে পারেন না, ফ্যাসিজমের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করতে পারেন না। এবার আপনারা গত ষোলো বছর এই তিনটা সংগঠনের সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ভূমিকা কি ছিলো সেটা ভেবে দেখেন। তার মানে কি এসব ফুট সোলজারদের আঘাত করতে হবে? বিপ্লবের পক্ষের ভাই-বোনদের অসন্তুষ্টির আশংকা মাথায় নিয়েও বলবো- আমি ব্যক্তিগতভাবে এর বিরুদ্ধে।’
গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রসঙ্গ এনে ফারুকী বলেন, ‘পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হবে রক্তের দাগ এখনও শুকায় নাই, খুনীর-লুটপাটকারীর বিচার শুরু হয় নাই, কিন্তু নানা জায়গায় উস্কানি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ডি-স্ট্যাবিলাইজ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আপনারা খুনির ফোনালাপ শোনেন। দেখেন সে অনুতপ্ত নাকি আরও খুন করার উস্কানি দিচ্ছে।’
সবশেষে বিপ্লবের পরে কুলিং পিরিয়ডটা পার হতে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন ফারুকী। পাশাপাশি এমন অবস্থায় লিবারাল ক্রিটিকের স্পেস কিভাবে আশা করবেন, তা নিয়েও আশঙ্কা করেছেন নির্মাতা।