বাংলা সিনেমায় সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ভিন্নধর্মী কাজ হয়েছে। এর ভেতর দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে নির্মাতা তানিম নূরের সিনেমা ‘উৎসব’। প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে এসে গল্পনির্ভর আবেগঘন এই ছবিটি আলোচনার জন্ম দিয়েছে বিশেষ একটি দৃশ্যের জন্য।
ছবির ক্লাইম্যাক্সে খাইষ্টা জাহাঙ্গীর ও তার মেয়ের প্রথম দেখা—এই মুহূর্তই হয়ে ওঠে সিনেমার আবেগঘন বাঁক। সেখানে জাহাঙ্গীরের সংলাপ— “মা রে, আমি যদি জমিদার হইতাম, আমার জমিদারি এক খোঁচা দিয়া লিখে দিতাম। আমি যদি রিক্সাওয়ালা হইতাম, সারা ঢাকা শহর তোমারে লইয়া ঘুইরা বেড়াইতাম।”
এই সংলাপ অসংখ্য দর্শককে কাঁদিয়েছে, ছুঁয়ে গেছে হাজারো বাবার আবেগ।
জাহিদ হাসান ওই চরিত্রে অভিনয় করে হয়েছেন দর্শক প্রশংসিত। সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই দৃশ্যের আবেগ নিয়ে তিনি বলেন, ’প্রত্যেক বাবার ভেতরেই এক ধরনের আবেগ থাকে। সেই মুহূর্তে আমি আমার নিজের মেয়ের কথাই ভেবেছিলাম। জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা এমনিতেই কাজ করছিল। তাই সংলাপ বলার সময় আবেগটা খুব বাস্তব লেগেছে।”
তিনি আরও বলেন,“খাইষ্টা জাহাঙ্গীর সব সময় ভালোবাসা চেয়েছে, কিন্তু পায়নি। সেই অভাব থেকেই তার ভেতরে রাগ জমেছে। শেষ দৃশ্যে মেয়ে যখন তাকে চিনে ফেলে, তখন ভেতরের সবকিছু ভেঙে বেরিয়ে আসে।”
উৎসব মুক্তির পর দর্শকের অনেকেই ছবিটিকে বলেছেন জাহিদ হাসানের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা কাজ। কেউ কেউ একে ‘ওয়ান ম্যান শো’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে জাহিদ হাসান ১৯৯৭ সালে নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান—মেয়ে জোহায়রা জাহিদ পুষ্পিতা ও ছেলে জারিফ জাহিদ সাইম।