২০০৫ সালে ক্লোজআপ ওয়ানের মঞ্চে সুরের যাদু ছড়ান মাহাদী ফয়সাল। ‘তুমি বরুনা হলে হবো আমি সুনীল’ গান দিয়ে শ্রোতাদের হৃদয় জয় করে নেন মাহাদী। এরপরেই কালের স্রোতে তিনি জীবিকা নির্বাহে ব্যস্ত হয়ে যান। গান করার পাশাপাশি কর্মরত আছেন দেশীয় একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে। সম্প্রতি চিত্রালীর মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান তার সুরের ভেলার কথা।
আলাপের শুরুতেই নিজের ব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, গান ছাড়াই বেশ ব্যস্ত তিনি। কারণ হিসেবে যাপিত জীবনের চাহিদাই বারবার উঠে আসে তার শব্দে। তিনি বলেন, গান দিয়ে জীবনের চাহিদা হয়তো মেটাতে পারবোনা জেনেই অন্যদিকে ব্যস্ততা শুরু। হেসে যোগ করলেন, ‘আপাতত চালডালই জীবন।’
তবে গান যে একেবারে ছেড়ে দিয়েছেন, সে সব উড়ো আলাপ বলে জানান তিনি। মাহাদী জানান, গান তো হচ্ছেই। শো হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে, দেখা যাচ্ছে কিনা সেটা নিয়ে।
চিত্রালীর এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহাদী সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়ে বলেন, ‘আমরা কিন্তু সবাই কাজ করছি। কেউ কম করছি বা বেশি করছি – কিন্তু করছি। হ্যাঁ, হয়তো আমাদের খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না। হয়তো কেউ কর্পোরেট শো করছেন, কেউ হয়তো স্থানীয় শো করছেন। দেখা যায়নি বলে যে একেবারে হারিয়ে গেছেন এমন কোনও কথা না।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মিডিয়া তাদের নিয়ে খবর বেশি করেন যাদের বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে দুইয়ে দুইয়ে এই চারের আয়োজনে হয়তো আমাদের ক্লোজআপ ওয়ানের প্রথম ব্যাচের খবর, খবরে একটু কমই আসে।
এতে তিনি মোটেও কোনও আক্ষেপ প্রকাশ করেননি। বরং যোগ করেন- মিডিয়াকে যারা বেশি সময় দেবেন, তাদেরই খবর হবে। এটাই স্বাভাবিক।
কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেমন অনেকেই ভাবেন নোলক হারিয়ে গেছে। অথচ ২০০৫ সালের বিজয়ী নোলক বাবু ঠিকই গান করছেন। তার একটি নির্দিষ্ট শ্রোতা ভক্ত আছে। তাদের মাঝে নিয়মিত গান করছেন নোলক। আবার রাজীবও গান করছেন। কর্পোরেট শো অনেক করেন তিনি।
মাহাদী জানান, তার প্রতিষ্ঠানও রাজীবকে আমন্ত্রণ জানান গান করার জন্য মাঝে মাঝেই। আবার মুহিন খানকে দেখা যায় কারণ, হয়তো তিনি গান, টিভির শো এবং অভিনয় একই সাথে করছেন। উল্লেখ্য, মুহিন খানের একটি মিউজিক লেবেলও আছে।
সব মিলিয়ে মাহাদী মনে করেন, যে যার মতন করে সুরের জীবন কাটিয়ে যাচ্ছে। তবে তিনি এও মনে করেন, গানের জীবনে উপার্জনের স্বস্তি থাকলে অনেকেই গানই করতেন শুধু। জীবনের চাহিদা মেটাতেই কর্পোরেট জগতের বাসিন্দা হয়েছেন তার মতন অনেকেই। তাদের মাঝে রেনেসা ব্যান্ডের নকিব খান তো আছেনই, হালের শাকের বা শূন্য ব্যান্ডের এমিলসহ আছেন একাধিক সুরেলা মঞ্চের মুখ।