গোয়ার ভাড়া বাসা থেকে তেলেগু চলচ্চিত্র প্রযোজক কেপি চৌধুরীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পুলিশ তার শয়নকক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে যাতে লেখা ছিলো, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’।
কেপি চৌধুরী গত ছয় মাস ধরে গোয়ার ওই ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করছিলেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি কেপি চৌধুরীকে তার বন্ধুরা ফোন করলেও তিনি উত্তর দেননি। এরপর বন্ধুরা দুশ্চিন্তায় ফ্ল্যাটের মালিককে বিষয়টি জানান। মালিক গিয়ে দেখতে পান যে, চৌধুরী মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। তিনি দ্রুত পুলিশকে খবর দেন, যারা পরে চৌধুরীর মাকে এই মর্মান্তিক খবরটি জানায়। তার মা খাম্মামের পালভাঞ্জা এলাকায় থাকেন, যেখানে কেপি চৌধুরীর শৈশব কেটেছে।
কেপি যন্ত্র প্রকৌশলে স্নাতক পাস এবং পরবর্তীতে পুনের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির’ অপারেশনস ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন। তবে ২০১৬ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন।
কেপি চৌধুরী সুপারস্টার রজনীকান্তের ‘কাবালি’ চলচ্চিত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন। এছাড়া তেলেগু সিনেমা ‘সর্দার গব্বার সিং’ এবং ‘সীতাম্মা ওয়াকিটো সিরিমাল্লে চেট্টু’-তে অবদান রেখেছেন। এছাড়া ‘কানিতান’ নামে একটি তামিল সিনেমার ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবেও কাজ করেছেন।
ইন্ডিয়া টুডের বরাতে জানা যায় দুই বছর আগে ৯৩ গ্রাম কোকেনসহ ধরা পড়েছিলেন। পরে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
ঘনিষ্ঠসূত্রের বরাতে জানা যায় ব্যক্তিগত, পেশাগত ও আইনগত নানা সমস্যায় জর্জরিত কেপি চৌধুরী ২০২৩ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন এবং সেই চাপই তার এই পথ বেছে নেয়ার কারণ হতে পারে।