কলকাতায় পুরস্কার পেলেন চঞ্চল চৌধুরী
ওপার বাংলার টালিউডে বেশি কাজ না করলেও জনপ্রিয়তা এবং প্রতিভার কারণে চঞ্চল চৌধুরীর অবস্থান বিশেষ। সম্প্রতি তিনি কলকাতার পঞ্চম বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড এবং দ্বিতীয় কলকাতা রত্ন সম্মান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কলকাতায় পুরস্কার পেলেন চঞ্চল চৌধুরী । বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডে অভিনয় ক্ষেত্রে তার অসীম অবদানের স্বীকৃতি পেলেন। এই স্বীকৃতি চঞ্চলের দীর্ঘ এবং প্রভাবশালী ক্যারিয়ারের ওপর নতুন দিক নির্দেশনা যোগ করেছে।
চঞ্চল চৌধুরীর হাতে পৌঁছানো সম্মাননা
চঞ্চলের হাতে বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী মন্দাকিনী। অনুষ্ঠান চলাকালীন তিনি উপস্থিত দর্শকদের জন্য ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান পরিবেশন করেন। চঞ্চল জানান,
“গান গাওয়া আমার মূল কাজ নয়। স্টেজে গাওয়া আমার জন্য দ্বিধাজনক হলেও দর্শকদের উৎসাহে গানটি পরিবেশন করেছি।”
চঞ্চল চৌধুরীর এই অভিজ্ঞতা দেখায় যে, একজন শিল্পী শুধু অভিনয়েই নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দর্শকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা
এবারের অনুষ্ঠানটি আয়োজিত করেছে অ্যাড-মৃণ এন্টারটেইনমেন্ট। পশ্চিমবঙ্গ এবং দেশের বাইরে যারা সিনেমা, গান, নাট্যশিল্প এবং খেলাধুলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাদেরকে সম্মানিত করা হয়। চঞ্চলের পাশাপাশি পুরস্কার পান:
- ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
- লাবণী সরকার
- আবীর চট্টোপাধ্যায়
- কৌশিক ব্যানার্জি
- নাট্যব্যক্তিত্ব সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
- সংগীতশিল্পী লগ্নজিতা
- অনিক ধর
- নির্মাতা গৌতম ঘোষ
- ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস
এভাবে অনুষ্ঠানটি শুধু বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং শিল্পীদের প্রতিভা এবং অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করছে।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া ও অনুভূতি
চঞ্চল বলেন,
“পুরস্কার পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এটি কাজের প্রতি দায়িত্ব এবং আগ্রহ বাড়ায়। দর্শকদের বিনোদন দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য। এ ধরনের স্বীকৃতি আরও ভালো কাজ করার প্রেরণা জোগায়।”
তার মন্তব্য এবং অভিজ্ঞতা দেখায় যে, তিনি শুধুমাত্র স্বীকৃতির জন্য কাজ করেন না, বরং দর্শকের প্রতি দায়িত্ব এবং ভালোবাসা থেকেই তার প্রতিটি ভূমিকা সুনিপুণভাবে পালন করেন।
আরও পড়ুন
চঞ্চল চৌধুরীর আগামী কাজের পরিকল্পনা
তিনি আরও জানান,
“আগামী ছয়-সাত মাসে চার-পাঁচটি সিনেমার কাজ করব। বাংলাদেশ ও কলকাতায় কিছু নতুন ফিল্মে অংশগ্রহণ করব। এবার ব্রাত্য বসুর ‘শেকড়’ সিনেমায় অভিনয় করব, যা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ছোটগল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হচ্ছে। এছাড়াও অমিতাভ ভট্টাচার্যের ‘ত্রিধরা’ সিনেমাতেও অংশগ্রহণ করব, যেখানে সহশিল্পী থাকবেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও কৌশিক গাঙ্গুলী।”
চঞ্চলের এই আগামি প্রকল্পগুলি তার অভিনয় প্রতিভার বহুমাত্রিক দিক এবং টালিউডে প্রভাবশালী অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে।
চঞ্চল চৌধুরীর টালিউডে অবদান
চঞ্চল চৌধুরীর দীর্ঘ এবং প্রভাবশালী ক্যারিয়ার টালিউডে তার প্রতিভা, অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করে। তিনি শুধু অভিনেতা নন, একজন শিল্পী হিসেবে সমাজ এবং দর্শকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ক্ষমতাও রাখেন। তার অবদান দর্শক, সমালোচক এবং সহকর্মীদের কাছে সমাদৃত।
আরও দেখুন