প্রতিবছরের মতো এবারও সিনেমা নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য নির্বাচিত ৩২টি সিনেমাকে দেওয়া হচ্ছে এই অনুদান। এর মধ্যে ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে আর ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার রেকর্ডসংখ্যক সিনেমা সরকারি অনুদানের জন্য জমা পড়েছে যা অন্যান্যবারের চেয়ে দ্বিগুণ।
মঙ্গলবার ১ জুলাই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সরকারি অনুদানের ছবিগুলোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোট তিনটি ধাপে ছবির বাছাইপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে চিত্রনাট্য বাছাই কমিটি জমা পড়া ছবি থেকে প্রথম ধাপে ৫০ শতাংশের কাজ সম্পন্ন করে। দ্বিতীয় ধাপে অনুদান বাছাই কমিটির যাচাই–বাছাই হয়। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে জমা পড়া ছবি থেকে মোট ৩২টি ছবি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে কোন কোন ছবি চূড়ান্ত হয়েছে, সে ব্যাপারে জানাতে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।
জানা গেছে, এপ্রিলের শেষে সরকারি অনুদানের ছবির চিত্রনাট্য জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য শাখায় ১৮৯টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য শাখায় ১৪০টি ছবি জমা পড়েছে। নানা ধাপ পেরিয়ে ৩২টি সিনেমাকে অনুদানের জন্য অনুমোদন করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। পূর্ণদৈর্ঘ্য বিভাগে এবার প্রতিটি ছবির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা করে আর স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগের প্রতিটি ছবির জন্য ২০ লাখ। সব মিলিয়ে এবারের অর্থ বছরে ৩২টি ছবির জন্য সরকার ১৩ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখছে।
খুব শিগগির সরকারি অনুদানের চূড়ান্ত তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্র।
এর আগে ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার প্রথম চলচ্চিত্রে অনুদান প্রথা চালু করে। সে বছর অনুদান পায় ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ ও ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ সিনেমা দুটি।