৬ জুলাই, বাংলা সিনেমার ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ খ্যাত এন্ড্রু কিশোরের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২০ সালের আজকের দিনে লাখো ভক্তকে শোকে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন তিনি।
রাজশাহী শহরে বেডে ওঠা অতি সাধারণ পরিবারের ছেলে কিশোর। সংগীত অনুরাগী মায়ের সপ্নপূরণ করতেই ১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমায় আলম খানের সুরে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে সংগীতাঙ্গনে পা রাখেন এন্ড্রু কিশোর।
সেই সময় নজর কাড়তে কিছুটা ব্যর্থ হলেও এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রতিজ্ঞা’ সিনেমার ‘এক চোর যায় চলে’ গানটি গেয়ে শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি।
শিল্পী হিসেবে ১৫ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর, যা বাংলাদেশের যেকোনও শিল্পীদের ক্ষেত্রে বিরল দৃষ্টান্ত। ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ এন্ড্রু কিশোর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন।
মূলত মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির গানই তার কণ্ঠে পেয়েছে অনন্য মাত্রা। তার শত শত কালজয়ী গান এখনও মানুষের মুখে মুখে। এর মধ্যে ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’ বা ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন’ ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’ ‘এক জনমে ভালোবেসে ভরবে না মন, ভরবে না’সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান আজও তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
ব্যক্তি জীবনে এন্ড্রু কিশোর লিপিকা অ্যান্ড্রু ইতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। তাদের কন্যা মিনিম অ্যান্ড্রু সংজ্ঞা ও পুত্র জয় অ্যান্ড্রু সপ্তক।