জুলাই আন্দোলনের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ নামে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন সিদ্ধান্ত নেয় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারই অংশ হিসেবে “এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচিও নেয়া হয়। তবে কর্মসূচীটি পুনর্মূল্যায়ন করে অনুষ্ঠানের তালিকা হতে বাদ দিয়ে দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ বিষয়ে সংশোধিত স্লাইডও শেয়ার করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটা কর্মসূচি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা পর্যায় থেকেই দ্বিধা ছিলো। একটা মাত্র কর্মসূচিই আমরা কয়েকবার কেটেছি, আবার যুক্ত হয়েছে। আমরা অনেকেই একমত ছিলাম “এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ গ্রেট আইডিয়া না সম্ভবত। পরে আবার নানা আলোচনায় এটা ঢুকে পড়ে কর্মসূচিতে। অনেক বড় কর্মসূচি এবং বড় একটা দল কাজ করলে এরকম দুয়েকটা ভুল চোখের আড়ালে থেকে যায়।“
এই কর্মসূচীর পক্ষে-বিপক্ষে জনগণের মতামতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা লিখেন, “আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামত জানানোর জন্য’।
ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি না থাকা নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হচ্ছে’।
ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি ব্যতীত বাকি সব কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে বলেও ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন তিনি। সবশেষে জুলাইয়ের প্রতি ও জনগণের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে তিনি আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন “লেটস রিকানেক্ট, রিগ্রুপ এন্ড রিইগনাইট দ্য ভেরি জুলাই ফায়ার”।