হালকা পাতলা একজন শিল্পী। যিনি জানেন যুগের স্রোত, তরুণ প্রজন্মের গ্রোথ! তাকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির নেক্সট বিগ ‘থিং’, তিনি প্রীতম হাসান।
২০২৩ সালে জীবনের তৃতীয় দশকে প্রবেশ করে মেরেছেন যেন ছক্কা। ২০২২ সালের সাজগোজ ফিমেল কনসার্টে তার প্রাণবন্ত উপস্থাপনের পর ২০২৩ সালে তিনি মঞ্চে আসেন জিপি কনসার্ট দিয়ে।
জিপি কনসার্টে যখন তিনি মঞ্চে তখনও সন্ধ্যা হয়নি। অনেকেই তার পারফরম্যান্স মিস করেছেন। ভেবেছিলেন হয়তো প্রীতম পরে আসবেন।
সেই ’আশা’ সূদে আসলে পুষিয়ে দিয়েছে প্রীতমের সোলো কনসার্ট। ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর একক কনসার্ট করে প্রীতম দেখিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশের মিউজিক লাভাররা টিকেট কেনে, গানও শোনে। সেই কনসার্টে কে ছিলেন না? দর্শকসারিতে মা ছিলেন, মঞ্চে ছিলেন অর্ণব, ফেরদৌস ওয়াহিদ, মমতাজ, রাফা, জেফার, হাবীবসহ আরও অনেকে। প্রীতম একে একে তার জীবনে সকলের অবদান তুলে ধরেন! জানান কিভাবে লোকাল বাস ঘুরে যাদুকর ‘দেওরা’র হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন সামনে।
এর আগে, ইউটিউবে সেরা ভিউ-এর হিসাব নিয়ে বসেছিলেন কোক স্টুডিও বাংলার গান ‘দেওরা’ নিয়ে। যে গানের দৈর্ঘ্য চারমিনিটও না তা দিয়ে মোটামুটি সিজনের সব রেকর্ড ভাঙেন প্রীতম। ফজলু মাঝি, ইসলাম উদ্দিন পালাকারসহ মোটামুটি উৎসবমুখর পরিবেশ মঞ্চে আনার মত এক্সপেরিমেন্ট এবং দুঃসাহস সম্ভবত প্রীতমই করতে পারেন।
আর সেই সাহসই তাকে পরিণত করে কোকস্টুডিও বাংলার ২০২৩ সালের কনসার্টে। মাঠভরা হাজার হাজার দর্শক ঐ পৌনে চারমিনিটের গান শোনার জন্য অপেক্ষা করেছেন শেষ পর্যন্ত। আর শেষে যখন গাইতে উঠেন, তখন এক দর্শক তাকে জড়িয়ে ধরে। একফোঁটাও বিরক্ত না হয়ে, তাকে থ্যাংক ইউ বলেন। সিকিউরিটি ছাড়াতে আসলে বলেন- ‘বি জেন্টল’।
শোস্টপার এই প্রীতম হাসান এভাবেই দর্শকদের হাসান, নাচান এবং নিজেও গোটা মঞ্চজুড়ে নেচে বেড়ান।
এরপর থেকে প্রীতমের গান কেউ মিস করবেন না হয় তো, কারণ প্রীতমের ‘রিয়েল ম্যাজিক’ শুরু হবে শেষবেলাতে.. যার আমেজ কাটানো সম্ভব তো নয়ই – অসম্ভব একেবারে।