নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যেদিন থেকে বসেছেন উপদেষ্টার আসনে, সেদিন থেকেই তাকে নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ জনগণের মাঝে। অন্তর্জালে ঢু মারলেই এই বিভক্তি স্পষ্টত চোখে পড়ে। ফারুকী কি উপদেষ্টা হিসেবে যোগ্য নাকি অযোগ্য? এই প্রশ্নের ছড়াছড়ি সর্বত্র। অনেকের মনেই প্রশ্নটি নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম দর্শকপ্রিয় চিত্রনায়িকা তমা মির্জার নেই বিন্দুমাত্র সন্দেহ।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তমা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় বিনোদন জগতের কেউ যদি বিষয়টি বোঝেন, তাহলে তিনি যোগ দিতেই পারেন। সেদিক থেকে ফারুকী ভাই একজন উপযুক্ত মানুষ। আশা করছি, সরকারের কাছে তিনি ভালো হোক মন্দ হোক, সব বিষয় তুলে ধরবেন।’
তমা মনে করেন, ফারুকীর উপদেষ্টা হওয়ার ফলে দুই বাংলার ইন্ডাস্ট্রির জন্যই সুখবরও আসতে পারে।
যদিও বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে সাংস্কৃতিক চর্চায় অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ভিসা জটিলতা’। এই বিষয়টি নিয়ে ফারুকী কি কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন? এমন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তমা বলেন, ‘আমি নিজেও ভিসা জটিলতায় ভুগছি। আর সবসময় কাজের জন্যই যে প্রতিবেশী দেশে যেতে হবে, এমনটা কোনো কথা নেই। সেখানেও অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী আছে। ইচ্ছা তো হয় তারা আসুক বা আমরা যাই। কিন্তু সেই জায়গা অনেক দিন ধরেই বন্ধ আছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের তোপের মুখে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর এদেশের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে গেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর এই সরকারের অধীনে ১০ নভেম্বর নতুন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ঐ দিন সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।