সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার, যিনি বাংলাদেশী চলচ্চিতের সুপারস্টার মান্না নামে পরিচিত, তার অকাল প্রয়াণের পর থেকেই তার স্ত্রী শেলী কাদের তথা শেলী মান্না তার স্বামীর মৃত্যুর আসল ‘কারণ’ জানতে চেয়ে এবং তদন্ত দাবী করে আসছেন।
৬ আগস্ট গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে প্রয়াত অভিনেত্রীর স্ত্রী জানান, মান্নার মৃত্যুর সুবিচার পেতে ২০০৮ সাল থেকে নিজের একমাত্র সন্তান নিয়ে একাই লড়াই করছেন তিনি।
শেলীর ভাষ্যমতে,মৃত্যুর দিন তার স্বামী নিজে গাড়ি চালিয়ে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আর ৬ জন ডাক্তারের গ্রুপ আসে ঠিক সকাল ৯ টায়। সময়ের এই বিস্তর ফারাকের হিসাব তিনি কখনো মেলাতে পারেননি।
সকাল ৭ টায় যখন ইনজেকশন দেয়ার ফলে অভিনেতার বমি শুরু হয় তখন কোন চিকিৎসক তার পাশে না থাকার বিষয়ে প্রশ্নও তোলেন শেলী।
অনেকের মতে, হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন মান্না। এ প্রসঙ্গে তার স্ত্রী বলেন, মান্না শুধু হাই কোলেস্টেরলের শিকার ছিলেন। এছাড়া অন্য কোন শারীরিক জটিলতা ছিল না অভিনেতার।
শেলী গণমাধ্যমের সামনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার স্বামীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের আপিলও জানান।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মান্না ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তার শ্যালক রেজা কাদের হাসপাতালটির ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০৯ সালে প্রাথমিক তদন্তে ডাক্তারদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ায় ঝুলে যায় মামলাটি।
উল্লেখ্য বাংলাদেশী সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক মান্না ২০০৮ সালে হঠাৎ করেই শিরোনামে পরিণত হন অকাল মৃত্যুর কারণে। তার ভক্ত- অনুরাগী- সহকর্মী তো বটেই, তার পরিবারই মান্নার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি।
একারণেই শেলী মান্না প্রায় পনেরো বছর ধরে মান্নার হয়ে আইনি লড়াই লড়ে যাচ্ছেন।