মৃত্যু অনিবার্য জেনেও মেনে নেওয়া কঠিন। সবার জন্যই প্রিয় মানুষগুলোর চলে যাওয়ার খবর বরাবরই অপ্রত্যাশিত। এইতো কিছুদিন আগেই তেমনই এই অপ্রত্যাশিত কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিলো গোটা শোবিজ।
একটু পিছিয়ে যাই, ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলবেলা, বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে দেশের বরেণ্য সব অভিনেতা, লেখক, পরিচালক ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তখন ছিল উৎসবঘন পরিবেশ। কারণ ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তির আশায় থাকা ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো-য়ের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। কিন্তু হঠাৎ পরিচালক নূরুল আলম আতিক ফোনে নাসির উদ্দীন ইউসুফকে জানান সিনেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করা সবার প্রিয় আহমেদ রুবেল আর নেই।
প্রিমিয়ার শোয়ের আনন্দঘন মুহূর্তে এক নিমিষেই নেমে এলো শোকের ছায়া।
এমনকি ছবিটি সেদিন দেখানো হবে নাকি এই নিয়ে দেখা দিয়েছিল্ল কিছুটা দ্বিধা, তবে প্রয়াত আহমেদ রুবেল-কে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ‘পেয়ারার সুবাস’ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন নির্মাতারা।
তার আত্মার শান্তি কামনা করে প্রদর্শনী শুরুর আগে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন উপস্থিত সকলে।
সহকর্মীর এমন হঠাৎ চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না কেউই। চোখের জল ধরে রাখতেই পারেননি অভিনেত্রী জয়া আহসান। দুঃখভারাক্রান্ত কন্ঠে বিশেষ বার্তাও দেন অভিনেতা তারিক আনাম খান, রেদওয়ান রনিসহ উপস্থিত অনেকেই।
অভিনেতা আহমেদ রুবেলের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা প্লাজায় নেয়া হয় তার মরদেহ। ঢাকা থিয়েটারের উদ্যোগে আয়োজিত এই শ্রদ্ধা নিবেদনে হাজির হয়েছিলেন দেশের নাট্য ও সিনেমা অঙ্গনের অনেক শিল্পী ও তারকারা।
সেখান থেকে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে অভিনেতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গাজীপুরের উদ্দেশ্যে। যেখানে ২য় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক উজ্জল নক্ষত্র আহমেদ রুবেলকে।
লেখা: নূফসাত নাদ্বরুন