জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানার এনামুল হক নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামী করা হয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে জামিননামা দাখিল করেন অপু বিশ্বাস।
এ বিষয়ে সিএমএম আদালতের জুডিশিয়াল পেশকার (জেপি) ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক অপু বিশ্বাস আইনজীবীর মাধ্যমে জামিননামা দাখিল করেন।’
অপু বিশ্বাসের আইনজীবী আবুল বাশার কামরুল বলেন, ‘ভাটারা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস গত ২ জুন হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পান।
জামিনের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক অপু বিশ্বাস সিএমএম আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করেছেন। শিগগিরই আমরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইব।’
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০-৪০০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন এনামুল হক।
মামলায় অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকেও আসামি করা হয়। মামলায় এসব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে এ মামলায় গত ১৮ মে গ্রেপ্তার হন আরেক চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ২০ মে জামিন পান নুসরাত ফারিয়া।