৫ আগস্ট থেকে বদলে গেছে বাংলাদেশের রাজনীতির সমীকরণ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত দেশের শোবিজ তারকাদের অনেকেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। মামলার ভয়ে অনেকেই চলে গেছেন আত্মগোপনে। এই তালিকায় আছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিও।
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, মাহিও রয়েছেন মামলার আতঙ্কে। সিনেমার জগতের বাইরেও মাহির আরেকটি পরিচয় আছে। সক্রিয় একজন কর্মী হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন কয়েক বছর ধরেই। রাজনীতির মাঠেও নেত্রী হতে শত চেষ্টা করেছেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেতে চেয়েছিলেন মাহি। কিন্তু মনোনয়ন পাননি তিনি। এরপরও হতাশ না হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই রাজশাহী-১ আসন থেকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। নৌকার প্রার্থীর কাছেই বিশাল ভোটের ব্যবধানে হেরে গেলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থক হওয়াই বর্তমানে অভিনেত্রীর আতঙ্কের কারণ।
এদিকে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও মাহি ছিলেন অনেকটাই নিরব। ৫ আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত পোস্ট করলেও ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার ও ফোনে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। শুটিং ফ্লোরেও দেখা নেই তার। আপাতত মাহির পরিচিত কারোই জানা নেই তার খোঁজ।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে দেশত্যাগ করতে গিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের জেরার মুখে পড়েছিলেন মাহি। বিমানবন্দরে দেড় ঘণ্টার মত তাকে বসে থাকতে হয়েছিল বলেও জানিয়েছিলেন এ নায়িকা নিজেই।