আজ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, লেখক ও গীতিকার তারেক মাসুদ এবং সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের এই দিনে মানিকগঞ্জে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারা। ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের লোকেশন দেখতে সহকর্মীদের নিয়ে মানিকগঞ্জে গিয়েছিলেন নির্মাতা-চিত্রগ্রাহক জুটি। ঢাকা ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সবাই।
২০০২ সালে তারেক মাসুদ নির্মান করেন তার নির্মিত প্রথম ছবি ‘মাটির ময়না’। ছবিটি তার শৈশবের মাদ্রাসা জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মিত হয়েছিল। যেটি ওই বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।
এরপর ‘আদম সুরত’, ‘মুক্তির গান’, ‘অন্তর্যাত্রা’ ও ‘রানওয়ে’সহ বেশ কয়েকটি ছবি নির্মাণ করেন তারেক মাসুদ। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার ও চ্যানেল আই চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
এছাড়া ফিল্ম সাউথ এশিয়া, কান চলচ্চিত্র উৎসব, মারাকেচ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, থ্রি কন্টিনেন্টন উৎসব, ভারতীয় আন্তর্জাতিক ভিডিও উৎসব, কারা চলচ্চিত্র উৎসব, ডিরেক্টরস গিল্ড অব গ্রেট ব্রিটেন, ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব বাংলাদেশ অনুষ্ঠানগুলোতেও তার সিনেমাগুলো নানা সময় পুরস্কৃত হয়।
তারেক মাসুদের আরেক সঙ্গী ও ক্যামেরা ‘ডিরেক্টর’ আশফাক মিশুক মুনীর ছিলেন তারেক মাসুদের সাথে মারা যান। মিশুক ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসির ভিডিও গ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। এছাড়া তিনি সংবাদ ভিত্তিক টেলিভিশন এটিএন নিউজের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। তারেক মাসুদের সিনেমা ‘রানওয়ে’র প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর ২০১২ সালে তার চলচ্চিত্র সম্পর্কিত প্রবন্ধগুলোকে একত্র করে একটি বই প্রকাশিত হয়। যেটির নাম দেওয়া হয় ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’। বইটিতে ভূমিকা লিখেছেন তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ।