পর্দায় সুসময় এলো ২০২৩ সালে, আর মাঠে কিং বেশে শাহরুখ খান রাজত্ব পেলেন আইপিএল টুর্নামেন্টে। এলেন, খেললেন আর জিতলেন একদম। তবে অন্যান্য মালিকের তুলনায় নিজের বিনয় দিয়ে গোটা আইপিএলের ভক্ত – ফলোয়ারের মনও জয় করে নিলেন। খেলোয়ারদের তো বটেই।
এবার আইপিএলে রোহিত শর্মার সাথে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস দলের মালিকের মান অভিমান তো চলছিলই। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নকে সরিয়ে দিয়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে আনা। মাঠে অযাচিত আচরণ- আরও কত কী! লক্ষ্ণৌ দলের মালিক কে এল রাহুলের সাথে তো মাঠেই চোখ রাঙানি দেখান। সুনীল শেঠির জামাতা রাহুল আবেগ ধরে রাখতে পারেননি।
অপরদিকে শাহরুখ খান! এবারের মেন্টর গৌতম গম্ভীর জানান, আগের সাত বছরের ক্যাপ্টেনসির আমলে সাত মিনিটও দল নিয়ে কথা বলেননি শাহরুখ। শাহরুখ বলেন, ‘ক্রিকেট যে খেলে সেই বুঝবে কি করতে কবে। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’
কেবল উৎসাহ দিয়ে গেছেন। দল হারলেও প্রত্যেককে বুকে জড়িয়েছেন।
এবারও শাহরুখ খানসহ কলকাতা নাইট রাইডার্সের সকল মালিক, মেন্টর গৌতম গম্ভীর, কোচ- সবাই চেয়েছেন শুধু খেলার মাঠে খেলাটাকে উপভোগ করতে।
এমনকি ম্যাচের ফাঁকেও স্টুডিওতে উপস্থিত অনেকেই বলেন, যত ব্যবসাই জড়িত থাকুক না কেন, দিন শেষে একজন খেলোয়ার চান প্রাপ্য সম্মান।
লক্ষ্ণৌ বা মুম্বাই দলে সেটা দেখা যায়নি, কিন্তু কেকেআর সেই সম্মান প্রদর্শনের পথ থেকে কখনো ফিরে আসেনি।
বলা যেতে পারে, শুধু রূপালি পর্দাতেই নয়, মাঠেও উপস্থিত কোটি কেটি মানুষের হৃদমাজারে শততে শত পেয়েছেন কিং খান শাহরুখ।