প্রেমের সম্পর্কটা এখন না থাকলেও এক সময় প্রেমের খবর হেডলাইনে স্থান করে নিতো টেসলা মোটরসের সিইও ইলন মাস্ক ও হলিউড তারকা অ্যাম্বার হার্ডের। সম্প্রতি আবারও হেডলাইনের অংশ হলো সাবেক এই প্রেমিক-প্রেমিকা। কারণ ইলনের বদৌলতেই নাকি বাদ পড়ার পরও শেষমেশ আবার মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘অ্যাকুয়াম্যান’ সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন অ্যাম্বার।
ভ্যারাইটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘অ্যাকুয়াম্যান’ সিনেমার প্রথম কিস্তির সাফল্যের পরও এর সিক্যুয়েলের জন্য অ্যাম্বারকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়ার্নার ব্রাদার্স। সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলোতে এই খবর ছাপানোও হয়েছিল। কিন্তু এমন সময় কাজে আসে অভিনেত্রীর সাবেক বয়ফ্রেন্ড ইলন। তিনি প্রযোজনা সংস্থাটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হু’মকি দেন। ফলশ্রুতিতে সেই ছবির অভিনয়শিল্পীদের তালিকা থেকে শেষ পর্যন্ত আর বাদ দেওয়া হয়নি অ্যাম্বারকে।
‘অ্যাকুয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম’ সিনেমা থেকে যখন অ্যাম্বারকে বাদ দেওয়া হয়, ধারণা করা হচ্ছিলো সাবেক স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে তখনকার চলমান মামলার কারণে সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েছেন অভিনেত্রী। আবার শোনা যায়, সিনেমাটির অভিনেতা জেসন মোমোয়ার সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকার ব্যাপারটিও হতে পারে তার ছবি থেকে বাদ পড়ার কারণ।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাকুয়াম্যান’ চলচ্চিত্রে নায়কের সঙ্গে রোমান্টিক দৃশ্যগুলোতে ভালো কেমিস্ট্রি দেখা যায়নি অ্যাম্বারের। পোস্ট প্রোডাকশনে ‘মুভি ম্যাজিক’-এর মাধ্যমে এই জুটির রসায়ন তৈরি করা হয়েছিল।
কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা-সমালোচনার শেষে ঠিকই অ্যাম্বারকে চুক্তিবদ্ধ করা হয় ‘অ্যাকুয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম’ সিনেমায়। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ছবিটির।