১৩ মে ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুকে আত্মহত্যা প্রচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ থাকলেও, তা পিছিয়ে আগামি ১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
আজ (১৩ মে) পুলিশ হিমু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায়, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাতে বাধ্য হন।
গেল বছর ২ নভেম্বর হিমুর খালা নাহিদ আক্তার জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, গত (২০২৩ সাল) ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক করে দেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দিলে মিহির বাসার মেন দরজা খুলে দেন। রুফি বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছে। পরে মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান। ওই সময় হিমু রুমের সিলিং ফ্যানে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হিমুর রুমে প্রবেশ করে ফাঁস নেওয়া অবস্থায় তাকে দেখতে পান মিহির। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিক মিহির ও রুফি হিমুকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হিমুকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুইটি নিয়ে কৌশলে সরে পড়েন।
নাহিদ আক্তারের ধারণা হিমু আসামী রুফিকে ব্লক করে দেওয়ায়, হিমু-রুফির মধ্যকার ঝামেলা থেকে রুফিই হিমুকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে বাথ রুমে প্রবেশ করে। তাই হুমায়রা হিমুর মৃ’ত্যু কোনও স্বাভাবিক আত্মহত্যা নয় বরং সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড।