শেষ হলো দীর্ঘ লড়াই। মৃত্যুর সাথে ১৪ দিন পাঞ্জা লড়ে মারা গেলেন অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর।
সীমানার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার। ৪ জুন সকাল ৬টায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
সীমানার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২১ মে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে দ্রুত ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে সীমানার। পরদিন আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য অভিনেত্রীকে ধানমন্ডির আরেকটি হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ভর্তি করানো হয় ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এই হাসপাতালেই তার মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার হয়। এরপর ২৯ মে বিকেল থেকে সীমানার চিকিৎসা চলছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তবে সীমানার শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। প্রতিনিয়ত অবনতি হয়েছে। শুরুর দিকে তাকে আইসিইউতে রাখা হলেও পরবর্তীতে ২৯ মে থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হলো। সীমানা চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
৪ জুন সকালে সীমানার প্রাক্তন স্বামী পারভেজ সাজ্জাদ তার অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করে লেখেন, ‘আমার শ্রেষ্ঠ তার মা’কে হারালো। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
উল্লেখ্য যে, মৃত্যুকালে সীমানা স্বামী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে শ্রেষ্ঠর বয়স আট। আর ছোট ছেলে স্বর্গ, যার বয়স তিন বছর।
৪ জুন দুপুর ১২টায় সীমানার মরদেহ চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে প্রবেশ করেন সীমানা। এরপর ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন তিনি। পরে নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। তবে ২০১৬ সাল থেকে অভিনয়ে বিরতি নিয়েছিলেন সীমানা। মূলত মা হওয়ার কারণেই ছিল এই বিরতি। পরবর্তীকালে তিনি আবারও অভিনয়ে নিয়মিত হয়েছিলেন।