বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা সালমান খান। অভিনয় দিয়ে মাতিয়েছেন হাজার হাজার মানুষদের, নিজেকে এনে দিয়েছেন তুমুল সাফল্য। সেই সালমান খানই জানালেন, অভিনেতা হওয়া তার জীবনের লক্ষ্য ছিলোনা। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ভাতিজা আরহান খানের পডকাস্টে এমন তথ্য দিলেন সালমান খান নিজেই। সিনেমার পরিচালক হতে চেয়েছিলেন বলে জানান তিনি, কিন্তু পরিচালক হিসেবে কেউ তাকে কাজে নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই অভিনয়ের জগতে এসেছেন এই তারকা।
ভাতিজা আরহান খানের ‘ডাম্ব বিরিয়ানি’ নামক পডকাস্টে সালমান খান জানান, কিশোর বয়সে মডেলিং করার সময়ই পরিচালনায় আগ্রহী হন তিনি। কিন্তু পরিচালক হিসেবে কাজ চাইতে যেখানেই গেছেন, সেখানেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অভিনয় করার। সালমান বলেন, ‘আমি পরিচালক হতে চেয়েছি। মডেলিং শুরু করার পর থেকেই নির্দেশক হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। সে সময় টুকটাক লিখতাম, এখনো লিখি। কিন্তু পরিচালক হিসেবে আমাকে কেউ কাজে নেয়নি। আমার তখন ১৭ বছর বয়স। তারা বলত, এই বাচ্চা কী পরিচালনা করবে!’
পরিচালক হিসেবে কাজ না দেওয়া সেই প্রযোজকেরাই উৎসাহিত করেছেন অভিনয় করতে। সালমান বলেন, ‘যখনই আমি পরিচালনার বিষয়ে কারো সঙ্গে কথা বলতাম, তারা অভিনয় করতে বলতেন। এরপর হঠাৎ করেই চাচাতো ভাইদের সঙ্গে ভিডিও তৈরি শুরু করি, সেখানে নায়ক হিসেবে অভিনয় করতাম আমি। ধীরে ধীরে কাজটাকে ভালোবাসতে শুরু করে দিই।’
‘বিবি হো তো অ্যাইসি’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে বলিউডে অভিষেক হয় সালমান খানের। সময়টা ১৯৮৮ তখন। নায়ক হিসেবে সালমানের প্রথম সিনেমা ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি প্রেম চরিত্রটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেখান থেকেই শুরু এই তুমুল সাফল্যের জীবনের।
সালমানের জীবনের এই ইচ্ছা-অনিচ্ছার গল্পগুলো নিয়ে দর্শকের কৌতুহল বহুদিনের। কিন্তু এই সব নিয়ে কখনো খুব বেশি কথা বলতে শোনা যায়নি সালমানকে। তবে ভাতিজা আরহান খান বলেই হয়তো সালমান ধরে রাখতে পারেননি নিজেকে। অকপটে বলে গেলেন অনেককিছুই।