বলিউডে নিজের ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ১৮টি ফ্লপ সিনেমা উপহার দিলেও ব্যবসায়ী হিসেবে দারুণ হিট প্রাক্তন অভিনেতা জায়েদ খান।
ফিল্মি পরিবার থেকে উঠে এসেও অভিনেতা হিসেবে মাত্র দুটি হিট সিনেমা উপহার দিতে পেরেছিলেন জায়েদ খান। তবে বলিউডে নিজের ক্যারিয়ার সেভাবে জমাতে না পারলেও ব্যবসায় কিন্তু দারুণভাবে সফল তিনি।
একের পর এক ফ্লপ তার উপর পার্শ্ব অভিনেতা হয়ে থাকতে থাকতে জায়েদ খান সিদ্ধান্ত নেন বলিউড ছাড়ার। নিজের কিছু সঞ্চয় বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ করা শুরু করেন। উদ্যোক্তা হিসেবে কিছুটা আলোর মুখ দেখতেও শুরু করেন তিনি।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত জায়েদ খানের সম্পদের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি রুপি। তবে জায়েদ এ কথার সমর্থনে কিছু বলেননি, বিরোধিতাও করেননি। জায়েদ খানের নানা ধরনের ব্যবসা আছে ভারতের জায়েদের বর্তমান মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৫০০ কোটি রুপি। সম্পদের পরিমাণ অনুসারে, তিনি এখন রণবীর কাপুর, প্রভাস, আল্লু অর্জুন ও রাম চরণের চেয়েও ধনী। রণবীর কাপুরের মোট সম্পদ ৫৫০ কোটি রুপি। প্রভাসের ৪০০, আল্লু অর্জুনের ৩৫০ ও রাম চরণের ১৩০০ কোটি রুপি।
নিজের এই সফলতার কারণ হিসেবে অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘মানুষকে তার নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে থাকতে হয়। একটা জনপ্রিয় কথা আছে। কারো যদি ফেরারি কেনার সামর্থ্য থাকে তার মার্সিডিজ কেনা উচিত। মার্সিডিজ কেনার সামর্থ্য থাকলে ফিয়াট।’
‘চুরা লিয়া হ্যাঁয় তুমনে’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন জায়েদ খান। তবে অভিনেতা হিসেবে নজর কাড়েন ২০০৪ সালের ‘ম্যা হু না’ সিনেমায় শাহরুখ খানের বিপরীতে। জায়েদ খান অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘শারাফত গ্যায়ি তেল লেনে’ মুক্তি পায় ২০১৫ সালে। এর পর থেকেই অভিনেতাকে আর সেভাবে পর্দায় পাওয়া যায়নি।