কিছুদিন আগে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শোবিজাঙ্গনে নানা অনিয়ম-বৈষম্যের অভিযোগ এনে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দেন তরুণ অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা। অভিযোগ নির্মাতাদের কাছ থেকে অপেশাদার আচরণের শিকার তিনি। তবে আবারো আলোচনায় তরুণ এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি একটি ফেসবুক লাইভ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন নেহা। লাইভে কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানান, তার বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকরা দ্রুত দেশের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। সে জন্য রওনা হয়েছিলেন। তবে কাগজপত্র ঠিক নেই দাবি করে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় তাদের।
গতকাল বিকেলে নেহা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে জানান, তার সরকারি কর্মকর্তা বাবার এনওসির (নো অবজেকশন লেটার) মেয়াদ ছিল না। সে জন্য তাদের আটকে দেওয়া হয়েছিল।
সেই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমরা এর আগে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম। তখন হাফ ডান হয়।
সে সময় এনওসি নেওয়া হয়েছিল। এবার ব্যাংকে আবার এনওসি চাইলে তারা জানান, আপনার তো এনওসি এই পারপাসে নেওয়া আছে, আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ সেটা মানতে নারাজ। তারা নানা রুলসের কথা শোনাচ্ছে। অথচ পরশুদিন আমার বাবার ট্রিটমেন্টের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া। বাবার একদম লাস্ট স্টেজ। আমি জানি না কী ঘটবে’।
অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে আজ ২৭ এপ্রিল তার বাবাকে নিয়ে ভারতে রওয়ানা হবেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন নেহা।
তিনি বলেন, ‘এনওসির জটিলতার কারণে বাবাকে দেশের বাইরে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের সমস্যার মোটামুটি সমাধান হয়েছে। আজ বাবাকে নিয়ে রওয়ানা হবো।’
এর আগে শাকিব খানের সঙ্গে তাণ্ডব সিনেমায় এক দিন শুটিং করার পর সিনেমা থেকে থেকে বাদ পড়েন নেহা। এভাবে বাদ দেওয়াটাকে অপেশাদার আচরণ বলেও মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী।
২০২০ সালে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ এ পরিচিতি পান নেহা তারপর শোবিজে নাম লেখান। বিজ্ঞাপন, নাটক, ওটিটির গণ্ডি পেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়ও। গত বছর মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘শরতের জবা’। সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন কুসুম শিকদার।