‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’ ট্রিলজিতে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন ডাকোটা জনসন। তার অন্তঃরঙ্গ অভিনয় তোলপাড় করে দিয়েছে যুবক-যুবতীদের মন। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি তার ১৫ বছরের অভিনয়জীবনে এই প্রথমবারের মতো কোন ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটরের (অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিংয়ের সমন্বয়ক) সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। অ্যামি পোহলারের পডকাস্ট গুড হ্যাং-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’ ট্রিলজিতে খোলামেলা দৃশ্যের অভিনয়ে কোন ইন্টিমেসি কো–অর্ডিনেটর ছিলেন না—বলেও জানান জনসন।
তবে প্রথম ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটরের কথা তুলে তিনি বলেন ‘সে দারুণ। তারপর বলেন, আসলে ব্যাপারটা খুব চমৎকার লেগেছে। কারণ, আমি তো এত দিন ধরে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করে এসেছি। কিন্তু সত্যি বলতে, সেগুলো পর্দায় দেখতে আকর্ষণীয় লাগলেও শুটিং মোটেই তা নয়।’
ডাকোটার ভাষ্য অনুযায়ী, যেকোনো অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে তিনি চরিত্র বিশ্লেষণ করে নেন—চরিত্রটি কে? দর্শকের কাছে সে কেমন? তার দর্শক কে? গৃহিণী? একাকী? ভীত? রক্ষণশীল? এসব জানার পর চরিত্রের প্রযোজনে অন্তরঙ্গ দৃশের শুটিংয়ে রাজি হন তিনি।
‘ফিফটি শেডস’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে জনসন আগেও মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। ২০২২ সালে ভ্যানিটি ফেয়ারকে তিনি বলেন, এই ছবিগুলো তৈরি করা ছিল ‘প্রায় উন্মাদের মতো করে।‘
তিনি বলেন ‘আমি যেটা চেয়েছিলাম, ছবির চূড়ান্ত সংস্করণ তার থেকে একেবারেই আলাদা ছিল’। তিনি বলেন, ‘আমি যখন অডিশন দিই, তখন “পারসোনা’’ ছবির একটা মনোলগ পড়েছিলাম। তখন ভেবেছিলাম, এই কাজ বুঝি বিশেষ কিছু হতে চলেছে। কিন্তু পরে যা হলো, তা আসলে একেবারেই অন্য রকম কিছু। সবকিছু মিলিয়ে ছবিগুলোর অংশ হতে পেরেছি বলে কৃতজ্ঞ। তবে সিনেমাটি ছিল আমার জন্য কঠিন যাত্রা’।