২০২১-২২ অর্থবছরে আওয়ামী সরকারের কাছ থেকে প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছিলেন শাকিব। ‘মায়া’ নামের সেই সিনেমার জন্য অনুদানের পরিমাণ ছিল ৬৫ লাখ টাকা। ছবিটি পরিচালনা করার কথা ছিল হিমেল আশরাফের।
অনুদানের প্রথম কিস্তির চেক সরকারের কাছ থেকে তুলে নিলেও এখনো পর্যন্ত ছবিটির শুটিং শুরু করেননি শাকিব খান। অথচ নিয়ম অনুযায়ী অনুদানের চেক পাওয়ার নয় মাসের মাঝেই সিনেমা নির্মাণ করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হয়। তবে সিনেমা নির্মাণে দেরি হলে যুক্তিসংগত কারণ দেখানোরও নিয়ম আছে। কারণ দেখিয়ে আবেদন করে সময় বাড়িয়ে নেওয়া যায়।
এদিকে ২০২৪ সালের অক্টোবর চলে আসলেও শাকিব ‘মায়া’ নিয়ে এখনো কাজ করেননি। ছবিটি নির্মাণে সময় বাড়ানোর জন্যও কোনো আবেদন করেছেন বলে জানা যায়নি।
২০২১-২২ অর্থবছরে অনুদান পেয়েছিল ১৯টি সিনেমা। যার মাঝ থেকে কিছু ছবি মুক্তি পেয়েছে, আর কিছু ছবির শুটিং শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেখান থেকে একটি ছবি জমা আছে সেন্সর বোর্ডে। একই অর্থবছরে শাকিবের সাবেক স্ত্রী ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের ‘লাল শাড়ি’ নামের সিনেমাটিও অনুদান পেয়েছিল, যা মুক্তি পায় ২০২৩ সালে।
শাকিবের ছবিটি নিয়ে পরিচালক হিমেল আশরাফ জানিয়েছিলেন ‘রাজকুমার’ সিনেমার পর নাম পরিবর্তিত হয়ে শুরু হবে ‘মায়া’ সিনেমার শুটিং। যদিও পরবর্তীতে আবার পরিচালক জানান, সিনেমাটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, একের পর এক সিনেমা উপহার দিয়ে যাচ্ছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে অভিনেতার প্রথম প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা ‘দরদ’। ছবিটি নিয়ে ভক্ত ও অনুরাগীদের উন্মাদনার মাঝেই নতুন এই অভিযোগের তীর এলো অভিনেতার দিকে।