নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন পালিত হয়েছে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে। পরিবার, স্বজন ও ভক্ত-পাঠকদের নিয়ে সেখানে মোমবাতি প্রজ্বলন, সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কাটার মাধ্যমে স্মরণ করা হয়েছে লেখককে।
এই দিনে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম দিবস উপলক্ষে নুহাশপল্লীতে ১৩ নভেম্বর সকলের প্রবেশ উম্মুক্ত ছিল। সুযোগটি পেয়ে ভক্তরাও স্পেশাল এই দিনটি পালন করতে লেখকের হাতে গড়া বাড়িটি ঘুরে দেখেন এবং স্মরণ করেন তাকে।
নুহাশপল্লী ছিল হুমায়ূন আহমেদের হৃদয়ের খুব কাছে। তিনি এই বাগানবাড়িটি গড়ে তুলেন ১৯৮৭ সালে ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিরুজালী গ্রামে ২২ বিঘা জমির উপরে। আর বাড়িটির নামকরণ করা হয় তার প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন ও তার প্রথম পুত্র নুহাশ হুমায়ূনের নামে।
লেখকের জন্মদিনে এই বাড়িতে প্রতি বছরই নানান আয়োজন রাখা হয়ে থাকে। এই বছরও ছিল না এর ব্যতিক্রম। ১৩ নভেম্বর দিনগত রাত ১২টা ১মিনিটে দিবসটি উপলক্ষে সেখানে ১ হাজার ৭৫ টি মোমবাতি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে জন্মদিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
তারপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার দুই ছেলে নিশাদ ও নিনিতসহ লেখকের ভক্তদের নিয়ে কাটেন জন্মদিনের কেক। এর আগে হুমায়ূন আহমেদের সমাধি ফুল দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি তার কবর জিয়ারত ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় শাওন জানান, সম্প্রতি কানাডা থেকে এক দল চিকিৎসক ও এক দল ব্যবসায়ী যোগাযোগ করেছেন তার সাথে। তার ক্যান্সার হাসপাতালটি নির্মাণের উদ্যোগ নিতে চান তিনি। একদম শুরুর পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে সেজন্য। এখনই এই বিষয়ে কথা দিতে না পারলেও তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই স্বপ্নটি পূরণের। তাছাড়া জাদুঘরটি হয়ে যাবে খুব শীঘ্রই।