২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে সার্টিফিকেশন সনদ পেয়েছে তরুণ নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতির প্রথম সিনেমা ‘নয়া মানুষ’।
আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে সিনেমাটির ২০২২ সালে এই সিনেমার চিত্রধারণ শুরু করেন নির্মাতা সোহেল রানা। কিন্তু সুপার সাইক্লোন সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে শুটিং সেট চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে আবার নতুন করে শুরু হয় চলচ্চিত্রটির কাজ, শেষ হয় ১২ এপ্রিল। পোস্ট প্রোডাকশন শেষ করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা হয় এবং ২ অক্টোবর সদস্যরা সিনেমাটি দেখে ২৩ অক্টোবর আনকাট সনদ নথিভুক্ত করেন। সিনেমাটি মুক্তিতে আর বাধা রইল না। তাই জি-সিরিজের ব্যানারে নান্দনিক ফিল্মসের প্রযোজনায় নির্মিত ‘নয়া মানুষ’ চলতি বছরেই মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন সিনেমার প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া।
এই খবরে উচ্ছ্বাসিত ছবির অন্যতম অভিনেতা রওনক হাসান বলেছেন, ‘সোহেল রানা বয়াতি, পাগলাটা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে একটি সিনেমা বানিয়েই ফেললো। সেটা আবার সার্টিফিকেশন বোর্ড-এর ছাড়পত্রও পেয়ে গেলো! কী অদ্ভুত সময়গুলো! কানুদীর চর! চরের সকল মানুষগুলো!’
সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি জানিয়েছেন, ‘বানভাসি মানুষের গল্প ‘নয়া মানুষ’ গল্পের মতোই নানা দুর্যোগ মোকাবিলা করে চলচ্চিত্রটি আনকাট মুক্তির অনুমতি পেয়েছে। নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। দ্রুত সময়ে চলচ্চিত্রটি দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’
উল্লেখ্য, কমল চন্দ্র দাসের চিত্র গ্রহণে সিনেমাটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে রওনক হাসান ও মৌসুমী হামিদ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি, শিশুশিল্পী ঊষশী প্রমুখ।