দেখতে দেখতে একদম শেষের দিকে এসে গেছে সাল ২০২৪। সবাই এরই মধ্যে প্রকাশ্যে আনা শুরু করেছে এই বছরের বিশেষ কিছু ভালো লাগা-না লাগার বিষয় গুলো। এই তালিকা থেকে বাদ যান নি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। চলচ্চিত্র প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতিবারের মত এবারও নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন ২০২৪ সালে তার দেখা প্রিয় ১০টি সিনেমার তালিকা।
সাবেক প্রেসিডেন্টের প্রকাশিত তালিকার উপরে লেখা রয়েছে ‘২০২৪ সালে বারাক ওবামার পছন্দের ছবি’। আর পোষ্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘কয়েকটি ছবি যা এই বছর দেখে ফেলার পরামর্শ স্টে’
বারাক ওবামার পছন্দের তালিকার দশ নম্বরে রয়েছে ‘আ কমপ্লিট আননোন’। তরুণ বয়সের বব ডিলানের গল্প নিয়ে নির্মিত এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জেমস ম্যানগোল্ড।
এরপর তার তালিকায় রয়েছে ‘সুগারকেন’ তথ্যচিত্রটি। যা একটি ভারতীয় আবাসিক স্কুলে শিশুদের যৌন নির্যাতন ও নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে বানিয়েছেন এমিলি ক্যাসি ও হুলিয়ান ব্রেভ নোসিক্যাট নি।
সাবেক প্রেসিডেন্টের তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে চলতি বছরের আলোচিত কামিং অব এজ কমেডি সিনেমা ‘ডিডি’।
তালিকার সাত নম্বরে আছে চলতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণপামজয়ী, একজন যৌনকর্মীর জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি সিনেমা ‘আনোরা’।
ওবামার প্রিয় দশ সিনেমার তালিকার ছয় ও পাঁচে রয়েছে ‘ডুন: পার্ট ২’ ও ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’। ডেনিস ভিলেনিউভের ‘ডুন ২’ চলতি বছর মুক্তির পর ব্যাপক ব্যবসা করে। অন্যদিকে প্রখ্যাত ইরানি পরিচালক মোহাম্মদ রাসুলফের ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’ তৈরি হয়েছে দেশটির বিচারব্যবস্থা নিয়ে। সিনেমাটি অস্কারে মনোনীত করেছে জার্মানি।
তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে ‘দ্য প্রমিস ল্যান্ড’ যা ডেনমার্ক, জার্মানি ও সুইডেনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত একটি সিনেমা। যার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ম্যাডস মিকেলসেন।
সাবেক এই প্রেসিডেন্টের তালিকার তৃতীয়তে ‘দ্য পিয়ানো লেসন’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটনের ছেলে ম্যালকম ওয়াশিংটন।
প্রকাশিত তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ‘কনক্লেভ’ হলো মিস্ট্রি-থ্রিলার ঘরানার সিনেমা। পিটার স্ট্রগনের ছবিটি তৈরি হয়েছে ২০১৬ সালে প্রকাশিত রবার্ট হ্যারিসের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে।
বারাক ওবামার চলতি বছরের পছন্দের সিনেমার তালিকায় একসব শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে পায়েল কাপাডিয়ার ছবি ‘অল উই ইম্যাজিন অ্যাজ লাইফ’। এই সিনেমাটি তৈরি হয়েছে ভারত, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ ও ইতালির যৌথ প্রযোজনায়।
সিনেমাটির জন্য নির্মাতা পায়েল কপাডিয়া বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে গ্রাঁ প্রি সম্মান পেয়েছে তার ছবি। এখানেই শেষ নয়, গোল্ডেন গ্লোবসে নন ইংলিশ ল্যাঙ্গোয়েজের বিভাগে সেরা মোশন পিকচারে মনোনয়ন পেয়েছে ‘অল উই ইম্যাজিন অ্যাজ লাইফ’।