সালমান খানের জন্য কেঁদেছিলেন করণ জোহর। নেপালি- আমেরিকান ফ্যাশন ডিজাইনার প্রবাল গুরুংকে একটি সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন তিনি।
১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি চলচ্চিত্র ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’- তে সালমানের সাথে কাজ করতে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন ‘কাভি খুশি কাভি গাম’খ্যাত নির্মাতা।
চলচ্চিত্রটির ‘সাজনজি ঘর আয়ে’ গানটির শুট করার জন্য ছেঁড়া জিন্স ও একটি কালো রঙের টি শার্ট পড়ে সেটে হাজির হয়েছিলেন সালমান । করণকে তখন অভিনেতা বলেন, ”এর আগে হয়ত রুপালি পর্দায় কোন ‘দুলহা’-ই জিন্স-টি শার্ট পড়ে তা ট্রেন্ডে পরিণত করেনি। আমি তা করতে চাই”। পুরো ঘটনা ঘটার সময় রক্ত চাপ বেড়ে গিয়েছিল করণের ।
পরিচালকের ভাষ্যমতে, সালমানকে ভীষণ ভয় পেতেন তিনি। আর তাই প্রথমবার তাকে সরাসরি না বলে গানটিতে বিয়ের ভারী সেট এবং দৃশ্যটির জন্য কাজলের লেহেঙ্গা পড়ার কথা বলেন। পরে নিজের প্রথম ছবি বাঁচানোর দোহাই দিয়ে তাকে গানটির জন্য তৈরি করা কালো রঙের স্যুটটি পড়তে অনুরোধ করার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন করণ। পরিচালককে কাঁদতে দেখে স্যুইটটি পড়ার জন্য রাজিও হয়ে যান সালমান।
গানটির কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান ‘ইন্ডিয়া’স বেস্ট ডান্সার’ নামক একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, গানটিতে সালমানের বেশিরভাগ দৃশ্য অভিনেতার ডুপ্লিকেট দিয়ে শুট করা হয়েছিল কারণ সালমান মাত্র ২-৩ ঘণ্টার জন্যই সেটে আসতেন।
সাক্ষাৎকারটিতে করণ আরও জানান,সিনেমাটির ‘আমান মেহেরা’র চরিত্রটির জন্য প্রথমে সাইফ আলী খান ও চন্দ্রচূড় সিংকে অ্যাপ্রোচ করা হলেও তারা পরিচালককে ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে চাঙ্কি পাণ্ডের একটি পার্টিতে সালমান খান নিজেই করণকে ছবিটির চিত্রনাট্য নিয়ে দেখা করতে বলেন। স্ক্রিপ্ট শোনার পরে সালমান শুধু ছবিটি করার জন্য নিজের সম্মতিই দেননি বরং প্রথমদিন ‘সাজানজি ঘর আয়ে’ গানের শুট করার জন্য সেটে উপস্থিতও হয়ে যান।
করণ কিছুদিন ধরে নিজের প্রযোজনায় নির্মিত নিখিল নাগেশ ভাটের ‘কিল’ এর প্রমোশনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। সিনেমাটি কিছুদিন আগে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল।