ছুরিকাঘাতের শিকার হওয়ার পরে আরেকটি দুঃসংবাদের মুখোমুখি সাইফ আলী খান। সাইফ আলী খানদের পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি চলে যেতে পারে ভারত সরকারের হাতে।
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের একটি রায়ের পরে পতৌদি পরিবারের ১৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইনের ভিত্তিতে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, সাইফ আলী খানদের পতৌদি পরিবারের ১৫,০০০ কোটি টাকার মধ্যপ্রদেশ ও ভোপালের পৈতৃক সম্পত্তি সরকারের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরে যারা পাকিস্তান চলে গিয়েছেন, তাদের সম্পত্তি নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে পতৌদি পরিবার বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য জানা যায়নি এখনও।
ইতিহাস অনুযায়ী, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন মেয়ে ছিলেন। বড় মেয়ে আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন।
মেজো মেয়ে সাজিদা সুলতান সাজিদা সুলতান থেকে গিয়েছিলেন ভারতেই। বিয়ে করেছিলেন নবাব ইফতিকার আলী খান পতৌদিকে। হয়ে উঠেছিলেন আইনি উত্তরাধিকারী। সেই সাজিদার নাতি সাইফ আলী খান। উত্তরাধিকার সূত্রে, সাইফের নামেও তাই সম্পত্তি থাকার কথা।
ভারতীয় হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২০১৭ সালের সংশোধিত শত্রু সম্পত্তি আইনের আওতায় একটি বিধিবদ্ধ প্রতিকার আছে। আর সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যে নিজেদের মতামত পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল জানান, হাইকোর্টের নির্দেশের ৩০ দিনের মধ্যে যদি (কোনও পক্ষ) নিজেদের মতামত দাখিল করেন, তাহলে যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদন বিচার করতে হবে।
এদিকে, ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার ৫ দিন পর গত ২১ জানুয়ারি নিজের অন্য এক আবাসনে ফিরেছেন সাইফ। সাইফের ওপর আক্রমনকারী এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। মুম্বাই পুলিশ এ ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে আছে।