মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় অন্যান্য প্রতিযোগীদের সাথে সমান তালে দ্যুতি ছড়িয়ে গেলেও সমালোচনা পিছু ছাড়েনি মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলামের। সুইমস্যুট রাউন্ডে অংশ নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। তবে সমালোচনার জবাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি ফের চলে এসেছেন নেটিজেনদের সুনজরে।
আন্তর্জাতিক কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা জেসিয়ার জন্য নতুন নয়। শুরুটা হয়েছিল ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ দিয়ে। যে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর মুকুট জয় করে ২০১৭ সালে তিনি গিয়েছিলেন চীনে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভিয়েতনামে ‘মিস চার্ম’ প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আর এবার তিনি পৌঁছেছেন কম্বোডিয়ায় মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৭৫টি দেশের প্রতিযোগীদের সাথে টেক্কা দিতে।
এ প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ দেখা গেছে ‘বেস্ট ইন সুইমস্যুট’ পর্বের লড়াই। যেখানে দর্শক ভোটে ১০ জন এবং জুরিদের পছন্দ অনুযায়ী ১০ জন নিয়ে সেরা ২০ জন যাবে চূড়ান্ত পর্বে। নির্বাচিত ২০ জনের একজন হতেই বাকি প্রতিযোগীদের মত লড়ছেন জেসিয়া।
১৪ অক্টোবর আয়োজকদের অফিশিয়াল ‘মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল’ ফেসবুকের পেজ থেকে প্রায় ৭০ জন প্রতিযোগীর সুইমস্যুট পরা ছবি প্রকাশ করা হয়। তবে সুইমস্যুটে ধরা দিয়েই বিপত্তি আসে জেসিয়ার সফরে। নেটিজেনদের একাংশের সমালোচনার তোপের মুখে পড়েন তিনি। সুইমস্যুট পরে মঞ্চে হেঁটে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অবমাননা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকে। তবে সমালোচকদের চমৎকারভাবে হ্যান্ডেল করেছেন তিনি।
১৪ অক্টোবর জেসিয়া তার ফেসবুকে ইংরেজিতে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন। স্ট্যাটাসের শুরুতেই সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান তার পাশে থাকার জন্য এবং তাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
এরপর তিনি রাউন্ডটি সম্পর্কে বোঝাতে লেখেন, ‘সুইমস্যুট রাউন্ডটি হলো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটির একটি অংশ যেখানে সমস্ত প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। এটি কারো মূল্যবোধকে অপমান বা চ্যালেঞ্জ করার জন্য নয়, বরং প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর আত্মবিশ্বাস, ফিটনেসের প্রতি ডেডিকেশন তুলে ধরার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি অনেক বছর ধরে চলে আসা একটি ঐতিহ্য যা বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার মান বজায় রাখে, বিভিন্ন দেশে একতা, বৈচিত্র্য এবং সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির প্রতি সম্মানের প্রচার করে।‘
সবশেষে সবাইকে সাপোর্ট করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান জেসিয়া। এভাবে সুন্দর ভাষায় নিজের পয়েন্ট বুঝিয়ে অভিমত ব্যক্ত করায় এবার জেসিয়ার পোস্টের মন্তব্যের ঘরে ইতিবাচক মন্তব্যই বেশি আসতে দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, জেসিয়াকে সুইমস্যুট রাউন্ডে ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে ১৬ অক্টোবর থাইল্যান্ড সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো প্রতিযোগীর ছবি লাইক ও শেয়ার করলেই নম্বর জমা হবে সেই প্রতিযোগীর ঝুলিতে। প্রতি লাইকে ১০ নম্বর এবং শেয়ারে পাওয়া যাবে ৫ নম্বর। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে কেবলমাত্র ফলোয়ারদের ভোটই গণনা করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।