৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সারা দেশের মানুষ এর সাথে আবার ঘটেছে বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও। তার মধ্যে একটি রাজশাহীতে স্টার সিনেপ্লেক্সে দুর্বৃত্তদের ভাঙচুর!
রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে প্রতিষ্ঠিত স্টার সিনেপ্লক্সের একটা শাখা ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয়েছে, দেওয়া হয়েছে আগুন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে আমরা স্টার সিনেপ্লক্সের একটা শাখা চালু করেছিলাম। সেটি রাজশাহী শহর থেকে বেশ দূরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে অবস্থিত। ক্ষমতার পালাবদলের পর হাইটেক পার্কে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। এই ফাঁকে সুযোগসন্ধানী ও লুটের তালে থাকা কিছু মানুষ স্টার সিনেপ্লেক্স ভাঙচুর করে।কাউন্টার, গেট, আসন ও হলের ভেতরের বিভিন্ন ডেকোরেশন দুষ্কৃতিকারীরা ভেঙে ফেলেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা সঠিকভাবে বুঝতে পারব।’
মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘আমাদের স্টার সিনেপ্লেক্সের অধিকাংশ শাখাই মার্কেটের ভেতরে অবস্থিত। তাই সেসব সুরক্ষিত রয়েছে। এটা হাইটেক পার্কের ভেতরে ছিল। হাইটেক পার্কে হামলার ফলে আমাদের সিনেপ্লেক্সে হামলা করা হয়েছে।’
সিনেমা হলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হামলা-ভাঙচুর চলছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সিনেমা হল ভাঙচুর করা হয়েছে, সিনেমা কার ক্ষতি করেছে? সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, সিনেমা হলো সমাজের প্রতিচিত্র। সিনেমা হল ভাঙচুর করার কোনো মানেই হয় না।’
নির্মাতা অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘আমার দেশের চলচ্চিত্র যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই এত বড় আঘাত! মেনে নেওয়া যায় না। আজ সিনেপ্লেক্স আছে বলে চলচ্চিত্র দেখার জন্য নতুন দর্শক আসতে শুরু করেছে। আমরা বড় বাজেটের চলচ্চিত্র বানানোর স্বপ্ন দেখি।’