আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। রোববার ২০ এপ্রিল সব ব্যাংকের কাছে এই তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।
বিএফআইইউয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, মেঘনা আলমের ব্যক্তিগত তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী বিএফআইইউ-এর চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে।
এর আগে মেঘনা আলমকে ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সেসময় ফেসবুক লাইভে এসে এই খবর মডেল মেঘনা আলম নিজেই জানান দেন।
গত ১৫ এপ্রিল মডেল মেঘনা, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম।
সেই মামলায় বলা হয়েছে, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা জনৈক কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬০ কোটি টাকা) অর্থ দাবি করেছেন। তবে মামলার এজাহারে ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি অংশ নেন বলে জানা গেছে । এতে কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্তও হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণা করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই তাকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল ভাটারা থানায় করা একটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হন ব্যবসায়ী সমির।