সবাইকে কাঁদিয়ে ২০১৮ সালে ওপারে চলে গেলেও কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু তার গিটারের ঝঙ্কারে বারবার ফিরে আসেন মানুষের মাঝে। গান দিয়ে তো বটেই, দেশের মানুষ বিপদে পড়লে এখনও তাকে পাওয়া যায় পাশে! এভাবেই আরও একবার বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি!
বাস্তবে আইয়ুব বাচ্চুকে আর পাওয়া সম্ভব না হলেও গায়কের রেখে যাওয়া ‘আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন অসহায় মানুষদের জন্য।
ইতিমধ্যে ‘আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন’ থেকে বানভাসিদের আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। অর্থের পরিমাণ- ৫০ হাজার টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে গায়কের ব্যান্ড এলআরবি-র অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে।
সম্প্রতি পেজটি থেকে বন্যার্তদের কথা উল্লেখ করে একটি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে লেখা, ‘আজ বড় বিপদ আমাদের। মানুষ ভেসে গেছে, জনপদ ভেসে গেছে। কিন্তু আমাদের বাঁচার স্বপ্ন ভেসে যায়নি। হিমালয়ের বেসিনের এই পলি বদ্বীপে বন্যা আর আমাদের সুপ্রাচীন সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সব থেকে শক্তিশালী আমাদের দুর্যোগে। বানভাসি মানুষেরা এই পলির বুকে ‘ফিনিক্স’ পাখির মত জেগে উঠে বার বার।’
পোস্টে এরপরই স্মরণ করা হয় আইয়ুব বাচ্চুকে। ক্যাপশনে লেখা, ‘আমাদের সেই ১৯৯৮ সালের বন্যার স্মৃতির কথা মনে পড়ে। বাংলাদেশের শিল্পীরা বরাবরের মত সম্মুখ সারিতে দাঁড়িয়ে ছিল ত্রাণ তৎপরতাকে উজ্জীবিত করার তাগিদে। আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি ভেসে আসছে বার বার। এমন দুর্যোগে কিছু একটা করার তাড়না তাকে তাড়িয়ে বেড়াতো। একে-ওকে ফোন দিয়ে জড় করে ফেলতেন।’
সবশেষে পোস্টটিতে লেখা, ‘আমরা আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ ইতিমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা দ্রুত আর কিছু ত্রাণ সরবরাহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আপনারা আপনাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে ফ্রন্ট লাইনে দাঁড়ান।’
এলআরবি-র এ পোস্টে যুক্ত করা হয়েছে তিনটি ছবি। প্রথম ছবিটি একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার টিকিট। যা কিনা ১৯৯৮ সালের ১৭ এপ্রিল আয়োজন করা হয়েছিল বন্যা-দুর্গতদের সাহায্যের জন্য। আর পোস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছবিটি ২০২৪ সালে বন্যা-দুর্গতদের সাহায্যের জন্য আর্থিক সহায়তার রিসিটের ছবি।