মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট চিরবিদায় জানিয়েছিলেন সাংবাদিক ও সিনেমাটোগ্রাফার মিশুক মুনীর। গুণী এই ব্যক্তির চলে যাওয়ার ১২ বছর পর বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে জায়গা পেতে যাচ্ছে তার ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস।
জানা গেছে, ১৮ ডিসেম্বর মুনীরের ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্য ও দলিলাদি আর্কাইভের মিউজিয়ামের জন্য জমা দিয়েছেন তার স্ত্রী মঞ্জুলী মুনীর। এই জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যামেরা, বিভিন্ন ধরনের লেন্স, ফ্ল্যাশগান, স্লাইড, ফটো অ্যালবাম, ক্যামেরার ম্যাগনেটিক, মিনি ক্যামেরা, ছোট ব্যাটারিচালিত লাইট, অ্যাকসেসরিজ, ওহম মিটার, পাসপোর্ট, আইডি কার্ড, দুর্লভ পকেট ঘড়ি, হাতঘড়ি, নেগেটিভ রাখার কাচের জার ইত্যাদি।
মুনীরের স্ত্রী যখন এসব জিনিস জমা দিচ্ছিলেন তখন উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ফারহানা রহমান, উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক, ফিল্ম অফিসার মো. ফখরুল আলম সোহাগ ও ফিল্ম ইনভেস্টিগেটর আবুল কাউসার মো. আল আমিন।
উল্লেখ্য যে, শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে মিশুক মুনীর। তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে সেখানেই শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে পুরোপুরিভাবে সাংবাদিকতায় নিযুক্ত হন।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সাংবাদিক, সম্প্রচার প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন মুনীর। বিবিসির ভিডিওগ্রাহক হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। মুনীরের নির্মাণ করা বিভিন্ন ধরনের প্রামাণ্যচিত্র, তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘রির্টান টু কান্দাহার’, ‘রানওয়ে’, ‘মাটির ময়না’, ও ‘মুক্তির গান’।
অবশেষে ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট পরিচালক তারেক মাসুদের সাথে ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের শুটিং লোকেশন দেখতে গিয়ে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় মিশুক মুনীর ও তারেক মাসুদসহ নিহত হন গাড়ির পাঁচ যাত্রী।