চরকি’র ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টটি একের পর এক সারপ্রাইস দিয়েই যাচ্ছে। প্রথমবারের মত তাসনিয়া ফারিণ ও প্রীতম হাসানকে একসাথে এনে এবার তারা আরেকটি সারপ্রাইস দিলো দর্শকদের!
২৬ আগস্ট চরকি প্রকাশ করেছে শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-এর আরেকটি ফিল্ম ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’-র সেট থেকে কিছু স্থিরচিত্র। যেখানে জুটি বাঁধতে দেখা যাচ্ছে হালের দুই জনপ্রিয় তারকা ফারিণ ও প্রীতমকে। এই সিনেমায় শুটিংয়ের জন্যই ফারিণকে তার বাস্তব জীবনের বিয়ের পর পরই ছুটে যেতে হয় অস্ট্রেলিয়ায়।
জানা গেছে, এক লং ডিস্টেন্স রিলেশনের গল্প নিয়ে শিহাব নির্মাণ করছেন ছবিটি। দূরত্বের কারণে মাঝে মাঝেই সম্পর্কে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা, বাসা বাঁধে সন্দেহ। এমন এক গল্প নিয়েই এগিয়ে যায় এই সিনেমার কাহিনী। তাইতো সদ্য বিবাহিত ফারিণ জানান, সিনেমাটির গল্পের সাথে নাকি তার জীবনের গল্পের অনেকটাই মিল রয়েছে। কারণ স্বামীর সাথে তার ছিল লং ডিস্টেন্স রিলেশনশীপ। নিজের সাথে কানেক্ট করে তাই চরিত্রটি ধরতে বেশী অসুবিধা হয়নি তার।
সিনেমাটিতে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রীতম জানান, শিহাব নাকি হঠাৎ-ই একদিন ফোন দিয়ে জানান একটি গল্প আছে তার কাছে। এরপর এই নির্মাতার সাথে বসে স্ক্রিপ্ট দেখেই তিনি নিশ্চিত হন এই প্রজেক্টে কাজ করার ব্যাপারে। এখানে তিনি রুয়েটের একজন স্টুডেন্টের চরিত্রে অভিনয় করছেন।
সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা শিহাব বলেন, “জীবনে অসংখ্য প্রেমের গল্প বানিয়েছি। কিন্তু এবারের প্রেমের গল্প বলতে গিয়ে নতুন কিছু অনুভূতি হয়েছে। এটা একদম নতুন গল্প। যদিও প্রতিটি কাজেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা হয়। দূরত্ব ভালোবাসার ওপর কিভাবে স্ট্রেস দেয়, কিভাবে সম্পর্কের টানাপোড়ন তৈরি করে তা এই সিনেমায় থাকবে। যারা প্রবাসে থাকেন তারা এটা ভালো ধরতে পারবেন। এটা একটা স্পর্শের গল্প।”
আরও জানা গেছে, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ সিনেমার কিছু শুটিং হয়েছে বাংলাদেশের রাজশাহীতে। আর কিছু অংশ হয়েছে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়।
প্রসঙ্গত, ৩ আগস্ট ভিন্নধর্মী এক শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ভালবাসার মন্ত্রণালয় গঠন করা হয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকি’তে। যেখানে ১২জন নির্মাতার হাত ধরে ১২টি ভালবাসার গল্প নিয়ে ১২টি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন তারা। পুরো প্রজেক্টটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন জনপ্রিয় পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।