বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
বর্তমানে জায়েদ দেশের বাহিরেই রয়েছেন। বিদেশ থেকেই তিনি জানান, ‘আমরা শিল্পী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হামলা করে হত্যার চেষ্টা করব এটা কেমন কথা। আমার মনে হয় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে শিল্পীদের জড়িয়ে এধরনের মামলা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শ থাকলেও শিল্পীরা হলো ফুলের মতো। তারা সংঘাতে বিশ্বাসী না।’
চিত্রনায়ক যোগ করেন, ‘এখন যেটা হচ্ছে আমার মনে হয়েছে দেশে অস্থির পরিবেশ তৈরির জন্য একটা মহল চেষ্টা করছে। কেউ যদি অপরাধী হয় অবশ্যই তার শাস্তি হোক চাই আমি। কিন্তু নির্দোষ মানুষ যেন নির্যাতনের শিকার না হয় বিষয়টি দেখতে হবে। আমি শিল্পী সমিতিতে একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছি। কে কোন দলের সেটি বিবেচনায় কিন্তু কাজ করিনি। শিল্পীরা সবাই সমান।’
সাবেক সরকারের আমল প্রসঙ্গে জায়েদ বলেন, ‘একটা দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। চলচ্চিত্রের উন্নয়ন, অসহায় শিল্পীদের সহায়তাসহ নানা কারণেই তাদের সঙ্গে আমাদের বসতে হয়েছে। অনেকেই তাদের সমর্থকও থাকতে পারেন। কিন্তু একটা মামলা করার আগে দেখতে হবে তারা অন্যায় কিছু করেছেন কিনা।’
উল্লেখ্য যে, ২৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলাটি করা হয়। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারের সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশে আসামিরা অস্ত্র নিয়ে তার গাড়িবহরে হা’মলা চালান। গাড়িবহরের ১২/১৪টি গাড়ি ভাঙচুর, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়। হামলায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরাও আহত হন।
জায়েদ খান ছাড়াও একই মামলার আসামিদের তালিকায় আছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেমসহ ৫০ জন।