সহকর্মীদের তোপের মুখে অফিস ছাড়তে বাধ্য হলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা বিভাগের পরিচালক ও অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ সেপ্টেম্বর। এদিন সকালে জ্যোতি অফিসে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে তার সহকর্মীদের মাঝে। এক পর্যায়ে তিনি শিল্পকলা ছেড়ে চলে যান।
শিল্পকলায় জ্যোতির এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ ইতিমধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, বাইরে থেকে আওয়াজ আসছে উত্তেজিত কর্মকর্তাদের। আর একটি রুমে নিজের সঙ্গে থাকা ব্যাগে নিজের জিনিস গুছিয়ে নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন জ্যোতি।
এরপর একই দিনে দুপুর পৌনে তিনটায় ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে লাইভে আসেন জ্যোতি। লাইভে অভিনেত্রী বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে অনেক জায়গায় দেখেছি পরিবর্তন এসেছে। তবে আমি অফিসে যাইনি। আমাদের সচিব স্যারের পরামর্শ ছিল না যাওয়ার। আমার নিয়োগ ঠিক ছিল, এখনো আছে। তো ভাবলাম অনেকদিন তো হলো যাই না। আমিতো এখানে কর্মরত, যাওয়া উচিত।’
জ্যোতি যোগ করেন, ‘সেই ভাবনা থেকে আমি আজ অফিসে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বাইরে কিছু মানুষকে উত্তেজিত দেখেছি। আমাদের আরেকজন পরিচালক আছেন, তিনি আমাকে বিষয়টি বলেন। আমাদের মহাপরিচালক মিটিংয়ে ছিলেন। তার সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত নিতাম আমি। তিনি আসার পর আমি দেখা করতে গেলে তিনি পরিস্থিতি দেখিয়ে বলেন, এই অবস্থায় কেন আসছেন আপনারা? এগুলো আমাকে সামলাতে দেন। তারপর যে সিদ্ধান্ত হয় হবে। আপনারা চলে যান।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘মহাপরিচালক যেহেতু আমাদের বলেছেন, আমরা তো অবশ্যই চলে যাব। এরপর আমার রুমে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জিনিস ব্যাগে ভরি। তখন লবিতে গিয়ে বাইরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। কিন্তু তারা কথা বলতে চান না। ঐ মুখগুলো আগে পরিচিত থাকলেও সেই মুখগুলো আজ খুব অপরিচিত লাগছিল। যাই হোক, পরে আমি সেখান থেকে চলে আসছি।’
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ‘আলো আসবেই’ নামের শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। গ্রুপের স্ক্রিন শট ভাইরাল হওয়ার পর থেকে অভিনেত্রী সমালোচনার তোপের মুখে পড়েছেন। এদিকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। তবে ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানে তার সক্রিয়তা দেখা যায়নি।