প্রয়াত হলেন “রক অ্যান্ড রোল” এর রানি টিনা টার্নার।
তার দীর্ঘ দিনের প্রচার কর্মকর্তা ২৪ মে বেরনার্ড ডোহার্টি ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও তার মৃত্যুর আসল কারণ তিনি প্রকাশ করেননি।
মৃত্যুর কারণ যেমন অপ্রকাশিত, তেমনই আড়ালে রয়ে গেছে তার জীবনের অনেক অধ্যায়ও।
গানের চাকচিক্যের আড়ালে লুকিয়ে ছিল জীবনের নানা ধাপের ধুসর ক্যানভাস।
আসুন জেনে নেই লিজেন্ড টিনার কিছু অপ্রকাশিত অধ্যায়।
১৯৮৮ সালে রিও ডি জেনেরিওতে একটি অনুষ্ঠান করেন টিনা। যেখানে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার দর্শক জড়ো হয়েছিল। যা যেকোনও একক শিল্পীর জন্য সবচেয়ে বড় সঙ্গীত অনুষ্ঠান।
তার জীবনকে কেন্দ্র করে তিনটি আত্মজীবনী, একটি চলচ্চিত্র, একটি জুকবক্স মিউজিক্যাল এবং ২০২১ সালে একটি ডকুমেন্টারি ছবি প্রকাশিত হয়।
এই শিল্পীর আসল নাম এনা মে বুলক হলেও তার প্রাক্তন স্বামী তার নাম বদলে টিনা টার্নার রাখেন এবং এই নামটি তার প্রাক্তন স্বামী ইক টার্নার ট্রেডমার্ক করে রাখেন। বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সময়, তথা ১৯৭৮ সালে তিনি তার এই নামটি ব্যবহার করার অনুমতি আদালত থেকে নেন।
শহরের চার্চে গান গাওয়া থেকে তিনি সংগীতচর্চার শুরু করেন। তার প্রাক্তন স্বামীর ব্যান্ড ‘কিংস অব রিদম‘ এ গান গাওয়ার জন্য প্রথমে অনুমতি পাননি। পরে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে বিবি কিং এর ‘ইউ নো আই লাভ ইউ‘ গানটি গাওয়ার পর ব্যান্ডে যোগ দেওয়ার জন্য অনুমতি পান।
টিনা আশির দশক থেকে বৌদ্ধ ধর্ম মত অনুসরণ করা শুরু করেন।
চলচ্চিত্রেও সম্পৃক্ত হন টিনা। ১৯৭৫ সালে রক অপেরা ‘টমি‘ এবং ১৯৮৫ সালে ‘ম্যাড ম্যাক্স : বিয়ন্ড থান্ডারডোম’ নামক চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন।
২০০০ সালে তার শেষ একক অ্যালবাম টুয়েন্টি ফোর সেভেনের মুক্তির সময় অবসরের ঘোষণা দিলেও ২০০৮ সালে বিয়ন্সের সঙ্গে গ্র্যামির মাধ্যমে মঞ্চে আবার ফিরে আসেন।
হল অব ফেমে একক শিল্পী হিসেবে ২০২১ সালে নাম লিখালেও ১৯৯১ সালে তার স্বামীর সাথে হল অব ফেমে নাম লিখিয়েছিলেন।
স্যার এলটন জনের সাথে ১৯৯৭ সালে কাজ করতে গিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। যা জনের আত্মজীবনী থেকে জানা যায়।
তার দ্বিতীয় স্বামী তাকে ২০১৭ সালে নিজের কিডনি প্রদান করেন।
টিনা ২০০৫ সালে কেনেডি সেন্টার অনার, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০১২ সালে গ্র্যামি হল অব ফেম অ্যাওয়ার্ড ও ২০১৮ সালে গ্র্যামি থেকে আজীবন সম্মাননা পান।
তিনি বিলবোর্ডের হট ১০০ চার্টে স্থান পাওয়া সবচাইতে প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী।