‘ছায়াবাজ’ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন জায়েদ খান। ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে তার ও সায়ন্তিকার চরিত্রের উপর কালি ছেটানোর চেষ্টা করছে একমহল; এমন মন্তব্য করেছেন নায়ক।
অভিনেতার ভাষ্যমতে,’ছায়াবাজ’ চলচ্চিত্রে দিন হিসেবে পারিশ্রমিক নেওয়ার চুক্তিতে কাজ করছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সাজসজ্জার কর্মীরা । একটি গানের শুটিংয়ের সময় ব্রেকের ফাঁকে প্রয়োজককে হোটেলে তাদের টাকা পাঠাতে বললে তা পাঠাতে দেরি করেন মনিরুল ইসলাম। তাছাড়া গানের দৃশ্যায়নের জন্য লেদারের কিছু পোশাকের প্রয়োজন ছিল, যা প্রযোজক সেটে সময় মত আনার ব্যবস্থা করেননি। আর তাই ছবির সেটে আসতে চার ঘণ্টা দেরি হয়েছিল বলে জানান অভিনেতা।
কিন্তু ছবির সেটে দেরিতে আসার জন্য গণমাধ্যমে কৈফিয়ত কেন দিচ্ছেন জায়েদ?
হোটেলে ৪ ঘণ্টা সময় কাটানোর জন্য ‘ছায়াবাজ’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমে ছবিটির মুখ্য অভিনেতা জায়েদ খান ও মুখ্য অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। প্রযোজকের ভাষ্যমতে, শুট শেষ করে পুরো ইউনিট চলে এলেও হোটেলে থেকে গিয়েছিলেন নায়ক- নায়িকা।
এছাড়াও প্রযোজকের বিরুদ্ধে আনা অপেশাদারি আচরণের অভিযোগকে নাকচ করে পাল্টা নায়িকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মনিরুল বলেন, ছবির চিত্রনাট্য প্রায় তিন মাস আগেই অভিনেত্রীকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন নির্মাতা পক্ষ।
এছাড়াও প্রযোজকের অভিযোগ, চুক্তির বাইরে সায়ন্তিকাকে কাপড়ের জন্য টাকা দেওয়া হলেও তিনি তা দিয়ে কাপড় না কেনায় নতুন করে পোশাকের ব্যবস্থা করা হলেও তা ফেরত না দিয়েই ভারত চলে যান নায়িকা।
৩০ আগস্ট রং মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং করার জন্য বাংলাদেশে আসেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কক্সবাজারে আটদিন ছবিটির জন্য শুট করেন জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭ সেপ্টেম্বর শুটিং শেষ না করেই কলকাতায় ফেরত চলে যান নায়িকা। এরপর থেকেই ছবিটির প্রযোজক মনিরুল ইসলাম ও নৃত্য পরিচালক মাইকেলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকা ছেড়েছেন নায়িকা; এমন খবরে গরম হয়ে যায় দুই বাংলার মিডিয়াপাড়া।
১৬ সেপ্টেম্বর পুরো ঘটনা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মুখ খুলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। নৃত্যপরিচালকের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ না তুললেও শুটের সময় অনুমতি ছাড়া সবার সামনে মাইকেলের স্পর্শ করার কথা গণমাধ্যমে জানান তিনি। এছাড়াও তিনি প্রযোজকের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনারও অভিযোগ সামনে আনেন।
কয়েকদিন ধরেই ‘ছায়াবাজ’ চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা ও প্রযোজকের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে গরম হয়ে আছে এপার-ওপার বাংলার গণমাধ্যম। ‘ছায়াবাজ’ চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েও অন্ধকার দেখছেন কেউ কেউ।