জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস তৈরি হওয়া, পুরো সময়টা নীরবতা বেঁছে নিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। দেশের প্রয়োজনে নীরব থাকায় তখন থেকেই নেটিজেনদের রোষানলে পড়ে আছেন তিনি।
বর্তমানে বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশের জন্য পূর্ণিমা তার দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙেছেন। তবে নেটিজেনরা এখনও ছাড় দেননি অভিনেত্রীকে।
মূলত স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা। ইতিমধ্যেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে কিছু এলাকার লাখ লাখ মানুষ। আটকে পড়া মানুষেরা যে যেভাবে পারছেন, নিজেদের উদ্ধারের আকুতি জানাচ্ছেন। ফলে বসে নেই অন্যান্য এলাকার মানুষেরাও। বন্যার্তদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।
অন্যান্যদের মত পূর্ণিমাও সাড়া দিয়েছেন বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য। ২২ আগস্ট সকাল থেকেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একের পর এক জনসচেতনামূলক পোস্ট করে যাচ্ছিলেন তিনি। সাহায্যের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি প্রতিকূল অবস্থা থেকে যারা এখনও উদ্ধার হতে পারেননি, তাদের তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি।
তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে পূর্ণিমার প্রতি ক্ষোভ এখনও শেষ হয়নি নেটিজেনদের। এতদিন চুপ থাকা পূর্ণিমা হঠাৎ করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোয় তোপের মুখে পড়েছেন। যা টের পেয়েছেন স্বয়ং পূর্ণিমাও। তাই সমালোচকদের উদ্দেশে একটি বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
২২ আগস্ট একটি স্ট্যাটাসে পূর্ণিমা লিখেছেন, ‘আমাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য, গালাগালি আপনারা চাইলে পরেও দিতে পারবেন। এই সময় আসুন বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসি।’ অভিনেত্রীর এমন পোস্টে অধিকাংশ ভক্তরাই তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। তারাও বলছেন, এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়। একে অন্যের পাশে দাঁড়িয়ে বন্যার্তদের সাহায্য করাই এখন সকলের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য যে, টানা বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যে। এরপর ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দিয়েছে। ফলে গোমতী ও ফেনী নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল তলিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বন্যাকবলিত জেলাগুলো হলো- ফেনী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি।