সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানালেন মুক্তিযোদ্ধা, প্রযোজক ও অভিনেতা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
৮ জুলাই, সোমবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বারবার বলা হচ্ছে কেন? দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। তার সঙ্গে যদি আরও ১২ বছর যোগ করা হয় তাহলে তার বয়স হয় ৬৫। এই বয়সে তো নিশ্চয়ই কেউ চাকরির জন্য চেষ্টা করে না, বা স্কুল-কলেজে ভর্তি হয় না। তাদের সন্তানদের বাবার জন্য কোটা সিস্টেমে চাকরি এবং ভর্তি হতে হবে এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল। নিজ ম্যারিটের গুণে তারা ভর্তি হবে, পরীক্ষা দেবে এবং চাকরিতেও ইন্টারভিউ দেবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কখনও এ ধরনের সুযোগ চাইনি। সম্মান যখন নেই তখন এই ধরনের সুযোগ দিয়ে তার সন্তানদেরকেও সম্মান দেখানো একটা অপচেষ্টা মাত্র।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সম্মানী দেওয়া ছাড়া তাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) জন্য আপনারা কি করেছেন মুখে, মুখে? তাদের জন্য মায়া কান্না করেছেন ড্রেস থেকে শুরু করে চিকিৎসা বা চলাফেরা কোনো কিছুতেই কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই আমরা কখনোই কিছু চাইনি। জাতির পিতার নির্দেশে দেশ স্বাধীন করার দরকার ছিল আমরা সেটাই করেছি। সর্বস্তরে এই কোটা সিস্টেম বাতিল করা হোক এটা দেশের সবার দাবি।’
কিছুক্ষণ পরে আরও দুটি পোস্ট করেন সোহেল রানা। একটিতে লেখেন, ‘চাষাবাদ করলেও একটি সিআইপি কার্ড পাওয়া যায় দেশের জন্য যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধাদেরও একটি কার্ড দেয়া হয় কিন্তু তা কোন জায়গায় ব্যবহার করার জন্য কাজে আসে না ভিআইপি বা সিআইপি তো নয়ই। আমরাই নাকি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। আহারে জীবন!’
আরেকটিতে অভিনেতা লেখেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেয়েছে সম্মানী পেয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদদের আমরা কি দিয়েছি উত্তর দিয়ে তারপরে চিৎকার করুন। আমাদের কথা একটাই দেশের জন্য দশের জন্য কোটা সিস্টেম বাতিল সম্পূর্ণ বাতিল।’
অভিনেতার এই পোস্ট গুলোতে সমর্থন জানিয়েছেন কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল নিয়ে সারাদেশে চলছে আন্দোলন। গেল সোমবারেও কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, সায়েন্সল্যাব মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, আগারগাঁও, মৎস্য ভবন মোড় ও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।