বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব ভূমিকায় ছিলেন অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। তাদের মধ্যে একজন আলোচিত ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি। এবার নিজের নীরবতার কারণ জানালেন আফ্রিদি।
১০ সেপ্টেম্বর নিজের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল তৌহিদ আফ্রিদি আন্দোলনে নীরবতার কারণ জানিয়ে দীর্ঘ একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যে পোষ্টটি আবার ডিলিটও করে দেন তিনি।
পোস্টের শুরুতে আফ্রিদি জানান তিনি আসলে তার সাথে ঘটে যাওয়া বিষয় গুলো কাউকে জানাতে চান নি তবে তার নামে বানোয়াট গল্প আর ট্রল বেড়ে যাওয়ায় বলতে বাধ্য হচ্ছেন।
একসময়ের জনপ্রিয় এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর লেখেন, ‘বাংলাদেশের যখন কোটা আন্দোলন শুরু হয় তখন আমি দুবাইতে ছিলাম। দেশের পরিস্থিতি তখন খুব খারাপ পর্যায়ে। আর তখনই আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করি যে আমি দেশে আসছি এবং কোটা আন্দোলনকারী ভাইদের পাশে দাঁড়াবো। এই পোস্ট করার পরও আমি তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। আমি যখন শহিদ আবু সাঈদ ভাইয়ের ছবি আমার সকল আইডিতে পোস্ট করি, কিছুক্ষণ পরেই আমাকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার থেকে জিয়াউল আহসান কল দিয়ে বলে ‘তোমাকে একটা জিনিস জানাতে চাই তুমি যে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টগুলো দিয়েছো এগুলো এক্ষুনি তোমাকে সরাতে করতে হবে। তোমার সাথে কে কে যুক্ত এগুলোতে?’
এইটা শোনার পর আমি সাথে সাথে ফোন কেটে দিই। কিছুক্ষণ পরেই আমাকে ডিবি হারুন কলে বলে ‘এই তুমি কার কল কাটছো? তুমি জানো? তুমি, তোমার বাবা, তোমাদের টেলিভিশন, সব শেষ করে দিবে। এখনি উনাকে কল ব্যাক করো, যা বলে শুনো।’
পর দিন আবার ডিবি হারুন আমাকে ফোন দেয়। বলে ‘তোমার নামে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে, দেশে আসলেই কিন্তু তুমি এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার হবা।’
নিজের পোস্টে আফ্রিদি আরও লেখেন, ‘বাবা যখন আমায় বললো দেশে এসে ছাত্রদের সাথে রাস্তায় নামতে তখন থেকেই পুরো বাংলাদেশ শাটডাউন থাকে। যে কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকে। যখন শাটডাউন শেষ হয় আমি বাংলাদেশে আসি।’
ছাত্রদের বিপক্ষে যাওয়া, কোন ইনফ্লুয়েন্সারদেরকে হুমকি দিয়ে পোস্ট বা ভিডিও করা এবং ছাত্রবিরোধী কোনো ক্যাম্পেইনের সাথে থাকা, এসবে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা না থাকার কথাও নিজের পোস্টে স্পষ্ট উল্লেখ করেন তিনি। সবশেষে ‘এভরিওয়ান ডিজার্ভস অ্যা সেকেন্ড চান্স’- বলে নিজের কথা শেষ করেনতৌহিদ আফ্রিদি।