সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে ট্রেন্ড করছে একটি হ্যাশট্যাগ। যা হলো #WeAreNahid। এবার এই হ্যাশট্যাগের সমর্থনে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করলেন তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় মডেল, অভিনেতা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুক্তাদির।
কিন্তু হঠাৎ করেই #WeAreNahid হ্যাশট্যাগ ছড়িয়ে পড়ার পেছনের কারণ কি?
মূলত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় #WeAreNahid হ্যাশট্যাগটি ছড়িয়ে পড়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত নাহিদের বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তি অপপ্রচার চালান। এরপর থেকেই তার পক্ষ নিয়ে নেটিজেনদের একাংশ তাদের মতামত প্রকাশ করছেন। এই নেটিজেনদের মাঝে রয়েছেন জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের নেতাকর্মী, শোবিজ তারকা, নাট্য নির্মাতা এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা।
উপদেষ্টা নাহিদকে সমর্থন করে প্রথমে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি লেখেন, ‘গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের অবস্থা এমনই। হাসিনার পুনর্বাসন প্রকল্পকে যারা সমর্থন করে, তারা দেশকে সেই একই পরিস্থিতিতে ফিরেয়ে আনবে: রক্তপাত, খুন, গুম এবং আরও অনেক কিছু। হাসিনার শাসনের পুনর্বসানকে সমর্থন করলে শেষ পর্যন্ত একই ভয়াবহ পরিণতি হবে।’ এই পোস্টে হাসনাত জুড়ে দিয়েছেন আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নাহিদের ওপর হওয়া নির্যাতনের দুটি ছবি।
হাসনাতের এই পোস্টটিই নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করেছেন সালমান। পাশাপাশি ক্যাপশনে তিনি নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন।
ক্যাপশনে সালমান লিখেছেন, ‘এই যে যা ইচ্ছা তাই এখন বলতে পারছো, অভিযোগ করতে পারছো, নিজের প্রোফাইল থেকে সবকিছু শেয়ার করতে পারছো। প্রশ্ন করতে পারছো। এটা ভুলে যেও না। জীবনের কোনো দিন পারো নাই। এই প্রথম পারছো, ভুলে যেও না।’
তিনি যোগ করেন, ‘অভিযোগ করো, অবশ্যই করবে। কেন করবে না। কিন্তু তুমি এই বিপ্লবকে কোনোদিন ইগনোর করতে পারবে না। অস্বীকার করতে পারবে না। সত্যি বলতে নাহিদকে আমি চিনিও না, জানিও না। কিন্তু আমি খুব ভালো করে জানি, আমি বা আমরা কয়েকশ মানুষ এখনো বেঁচে আছি ওদের মতো মানুষের ত্যাগের জন্য। তাদের ছাড়া আমাদের অর্ধেকও থাকতো না এখন। যা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’
এভাবেই রাজপথে আন্দোলনসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাঁড়ানো সালমান মুক্তাদির, নেটিজেনদের একাংশের মতই আবারও নাহিদ ইসলামের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। নাহিদের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি এমন সমর্থন দেখিয়ে তার অনুরাগীদেরও উপদেষ্টার পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন। ঠিক যেমন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি নেটিজেনদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন ছাত্র-জনতার পক্ষে এগিয়ে আসতে।