জনপ্রিয় রূপকথা স্নো হোয়াইটকে নতুনভাবে পর্দায় নিয়ে এসেছে ডিজনি। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে তৈরি হয়েছে ‘স্নো হোয়াইট’। এতে স্নো হোয়াইট চরিত্রে র্যাচেল জেগলার আর ইভিল কুইন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইসরায়েলি অভিনেত্রী গল গাদত।
ডিজনির অন্যতম ব্যয়বহুল এই মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি মুক্তি পায় গত ২১ মার্চ। তবে বক্স অফিসে একেবারেই সাড়া ফেলতে পারেনি স্নো হোয়াইট। সব মিলিয়ে মাত্র ২০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করতে পেরেছে ডিজনী।
ইসরায়েলি অভিনেত্রী গল গাদত দেশটির সামরিক বাহিনীতে ছিলেন বছর দুয়েক। নিজের দেশের পক্ষে তিনি সব সময় সরব। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যে আগ্রাসন চলছে, সেটার বিপক্ষে হলিউডের অনেক তারকা কথা বললেও গল গাদতের অবস্থান ইসরায়েলের পক্ষে। যে কারণে অনেক দেশে স্নো হোয়াইটের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা হয়।
মূলত গল গাদতের ফিলিস্তিনবিরোধী এই অবস্থানই ডিজনীর ক্ষতির মুখে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন গল গাদতও। স্নো হোয়াইট কেন ব্যর্থ হলো, এ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন গল গাদত। ইসরায়েলি টিভি অনুষ্ঠান দ্য অ্যা টকসে অভিনেত্রী বলেন, ‘হলিউডসহ অনেক ইন্ডাস্ট্রিতেই এটা ঘটছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য সেলিব্রিটিদের ওপর একধরনের চাপ থাকে। আমি হয়তো চেষ্টা করতে পারি এখানে (ইসরায়েলে) কী ঘটছে, তা মানুষকে বোঝানোর। আমি সব সময় সেটাই করি। কিন্তু দিন শেষে মানুষ তাদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেয়। আমি খুব হতাশ হয়েছিলাম এসব বিষয় স্নো হোয়াইটকে প্রভাবিত করেছে, সিনেমাটি বক্স অফিসে ভালো করতে পারেনি। আসলে এটাই হয়। কিছু পেতে গেলে কিছু হারাতে হয়।’
গল গাদত ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণেই প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি লস গুনতে হচ্ছে ডিজনিকে।
গল গাদত ২০০৪ সালে মিস ইসরায়েল খেতাব জেতেন। ২০ বছর বয়সে, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (আইডিএফ) যুদ্ধ ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসেবে দুই বছরের বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা দেন।
ব্যাটম্যান বনাম সুপারম্যান: ডন অব জাস্টিস (২০১৬) ছবিতে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পায়, এবং পরবর্তীকালে তাকেই মূল চরিত্র করে নির্মিত হয় ওয়ান্ডার ওম্যান (২০১৭)। তিনি ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস চলচ্চিত্র সিরিজে জিসেল ইয়াশার চরিত্রেও অভিনয় করেন।
২০২৫ সালে, গল গাদত হলিউড ওয়াক অব ফেমে তারকা সম্মান পাওয়া প্রথম ইসরায়েলি অভিনেতা হিসেবে ইতিহাস গড়েন।